তিনি যে প্রকল্পের শিলান্যাস করেন, তিনিই সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। লালকেল্লার প্রাচীর থেকে নাম নাম করেই বিরোধীদের কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর। বুঝিয়ে দিলেন তাঁর সরকার কাজ করে। এবং দেশবাসীর স্বার্থে কাজ করে। স্বাধীনতার ভাষণের শেষ প্রান্তে এসে নাম না করে ফের কংগ্রেসকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর অভিযোগ, এতদিন পরিবারতন্ত্র এবং তার থেকে তৈরি হওয়া তোষণনীতি দেশকে দুর্নীতির দিকেই ঠেলে দিয়েছিল। তাঁর দাবি আগামী বছর লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতার পতাকা তিনিই উত্তোলন করবেন।
লোকসভা ভোটের দেরি থাকলেও নির্বাচন ময়দান যে তেতে গিয়েছে, তা মানছেন দেশের রাজনীতিকরাও। আর সেই কারণে, লোকসভা ভোটের আগে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর শেষ ভাষণের উপর সবার নজর ছিল।
আরও পড়ুন : দেশের উন্নয়নে মধ্যবিত্তই হাতিয়ার, লালকেল্লা থেকেই কার্যত লোকসভার প্রচার মোদীর
এর আগেই রাজনৈতিক মহলের দাবি ছিল, লালকেল্লা থেকেই হয়তো আগামী লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই দাবি সত্যি প্রমাণ হল।
প্রায় দেড় ঘণ্টার স্বাধীনতার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন ২০১৪ সালের আগের ভারত কী ছিল, আর ২০১৪ সালের পর ভারত কী হল। নাম না করলেও তাঁর তির ছিল কংগ্রেসের দিকে। তাই সরকারি খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে উদাহরণ টানলেন অর্থনীতি থেকে সমাজনীতির।
অভিযোগ করলেন বেহাল দশা থেকে আজ মজবুত অর্থনীতির ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই দেশ। যা বিশ্বকেও অক্সিজেন দিচ্ছে। ভারত আজ এক আশার নাম বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেইকারণে তাঁর জোড়াল সওয়াল, তিনি যে প্রকল্পের শিলান্যাস করেন, সেই প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি।