ফের রাজ্যের উপর কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নয়াদিল্লি থেকে নীতি আয়োগের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার মাধ্যমে দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করলে তা কেন্দ্রেরই ক্ষতি, দাবি মমতার। অবিলম্বে কেন্দ্রের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ারও দাবি তুললেন তিনি। ১০০ দিনের টাকা আটকে দেওয়া নিয়েও সরব হন তিনি।
শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রপিত ভবনে কালচারাল সেন্টারে কথা বলার সুযোগ পাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই কক্ষেই রবিবার ছিল নীতি আয়োগের বৈঠক। নীতি আয়োগের বৈঠকে লিখিত ভাষণের পাশাপাশি নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বাংলার কী অভিমত, জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিহাস বিকৃতি নিয়েও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধি, পেট্রল-ডিজেলের দামবৃদ্ধি, নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রকে নানা ইস্যুতে কাঠগড়ায় তুললেও, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আগামী বছর G20 সম্মেলন ভারতে হবে। এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। যে কোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।"
আরও পড়ুন: ‘হেঁয়ালি না করে টাকার উৎস বলে দেওয়া উচিত’, পার্থকে ‘পরামর্শ’ মদনের
রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রথমার্ধেই বক্তব্য শেষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। চারদিনের দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অশোক গেহলেট, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, চন্দ্রশেখর রাও সহ একাধিক বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। মূলত রাজ্যের ইস্যু নিয়ে নিজের মতো করেই দিল্লি সফরে কৌশলী অবস্থান নিয়েছেন তিনি।