২ জুন । সেই অভিশপ্ত রাতের পর কেটে গিয়েছে তিনদিন । নতুন ভোর হয়েছে । কিন্তু, ছবিটা বদলায়নি । আজও, স্বামী কিংবা বন্ধুর ছবি হাতে নিয়ে মর্গে মর্গে ছুটে বেড়াচ্ছেন অনেকে । মৃতদেহের স্তূপের মধ্যে বাবা খুঁজছেন তাঁর ছেলেকে । ভেতর ফেটে যাচ্ছে । মুখে কিছু বলার শক্তি নেই । ঠিক তেমনই স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছেন না বাঁকুড়ার বৈশাখী । স্বামী সিআরপিএফ জওয়ান । ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন । ফিরে যাওয়ার আগে ওড়িশায় একটি কাজের জন্য করমণ্ডলে যাচ্ছিলেন । তারপরেই দুর্ঘটনা । শুধু ফোনটা কুড়িয়ে পেয়েছেন স্বামীর । এখনও মানুষটা কোথায়, জানেন না বৈশাখী ।
সেরকমই বন্ধুকে খুঁজছেন মুন্না বারিক এবং ধর্মেন্দ্র সিং । তাঁরাও অভিশপ্ত ট্রেনটিতে ছিলেন । দুর্ঘটনায় হাত ভেঙেছে তাঁদের । কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না করেই খুঁজছেন তাঁদের সাগর খরিয়াকে । একইভাবে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না উত্তর দিনাজপুরের আনজারুল হক, বীরভূমের অমর মুদি, বিহারের ইন্দ্রদের । মানুষগুলো গেল কোথায় ? এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে হন্যে হয়ে ঘুরছেন তাঁদের আত্মীয়রা ।