বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় একদিকে যখন স্তূপীকৃত মৃতদেহ, চারিদিকে স্বজন হারানো কান্না । তখন আরেকদিকে এই ট্র্যাজিক দুর্ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে টাকা কামানোর চেষ্টা করছেন কয়েকজন । চলছে কালোবাজারি । দুর্ঘটনার জেরে বাতিল হয়েছে পুরী থেকে কলকাতাগামী ট্রেন । যার জেরে বাস কিংবা গাড়ি ভাড়া করে পুরী থেকে ফিরতে হচ্ছে কলকাতায় । আর সেখানেই চলছে বড়সড় কালোবাজারি । যে বাসের টিকিটের দাম হাজার থেকে ১২০০, এখন তা নেওয়া হচ্ছে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত । সম্প্রতি, একটি বাসে হানা দেন ওড়িশার পরিবহণ দফতরের ইনস্পেক্টররা । যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করে টিকিটের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা । এরপরই ওই বাসের কন্ডারকটে দ্রুত টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয় । পরে ওই বাসকে ২০-২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয় ।
তবে, শুধু বাস নয়, চার সিট কিংবা সাত সিটের গাড়ির ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা । অভিযোগ, চার যাত্রীকে কলকাতায় পৌঁছে দিতে ভাড়া চাইছে ৩৫-৩৬ হাজার টাকা! সাত জন যাত্রী যেতে পারেন, এমন গাড়ির ভাড়া ৫২-৬০ হাজার টাকা । দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্য বাধ্য হয়েই এত টাকা দিয়ে ফিরছেন যাত্রীরা । ওড়িশা ছাড়াও, দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় একই পরিস্থিতি । অন্যদিকে, বিমানের ভাড়াও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দ্বিগুণ । আর ওড়িশা সরকারের তরফে যে বিনামূল্যে বাসের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, তাতে এত ভিড় হচ্ছে যে ওঠাই যাচ্ছে না । পুরী বাসস্ট্যান্ডে রাতের পর রাত কাটাচ্ছেন যাত্রীরা ।
পরিবহন ছাড়া, হোটেলগুলিতেও কালোবাজারি চলছে বলে অভিযোগ । ট্রেন বাতিলের পর অনেকেই হোটেলে ফিরে অতিরিক্ত সময় থাকার বিষয়ে কথা বলেন । তখন তাঁদের জানানো হয়, অতিরিক্ত দিন বা সময়ের জন্য প্রতিদিন দুই হাজার করে লাগবে । অভিযোগ, ১২০০টাকার হোটেল দুই হাজার করে চাওয়া হচ্ছে । একের পর এক ট্রেন বাতিলের জেরে এখনও বহু মানুষ পুরীতে আটকে রয়েছেন । তৎকালের টিকিটও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানাচ্ছে রেল ।