ছেলের বয়স ৩০, তার মধ্যে শেষ ১১ বছর ধরে এক প্রকার অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন যুবক। ছেলের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি হরিশ রানার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল মঙ্গলবার। শীর্ষ আদালত অবশ্য যুবকের স্বেচ্ছামৃত্যুতে অনুমতি দেয়নি। বরং সরকারি হাসপাতালে বা অন্য কোনও সমতুল্য স্থানে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় কি না, সেটি বিবেচনা করছে বেঞ্চ। সেই নিয়ে কেন্দ্রের মতামতও জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
পরোক্ষ স্বেচ্ছামৃত্যু বা প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়ার অর্থ হল কাউকে জীবিত রাখার জন্য ব্যবহৃত লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে, ১১ বছর ধরে হাসপাতালে জ্ঞানহীন অবস্থায় ভর্তি থাকলেও যুবককে ভেন্টিলেশন বা অন্য লাইফ সাপর্ট ছাড়াই বেঁচে আছেন, শুধু রাইলস টিউব লাগানো আছে। এই অবস্থায় যুবকের প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়ায় অনুমতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সন্তানের চিকিৎসা করাতে করাতে গিয়ে নিঃস্ব হতে বসেছেন বৃদ্ধ বাবা-মা।
এর আগে দিল্লি হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়ে তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে পরোক্ষ স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর দম্পতি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্ট ছাড়া বেঁচে থাকা কোনও রোগীকে ইঞ্জেকশন দিয়ে প্রাণের স্পন্দন বন্ধ করতে পারেন না কোনও চিকিৎসক।
ভারতে স্বেচ্ছামৃত্যু আইনি ভাবে বৈধ নয়। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে পরোক্ষ স্বেচ্ছামৃত্যু আইনি বৈধতা পেয়েছে ভারতে। বেলজিয়াম, কানাডা, লুক্সেমবার্গ, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ইউথ্যানাশিয়া বৈধ।