মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার পর এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে রেল ভবনের অন্দরে। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগুনের গুজব ছড়িয়েছিলেন এক চাওয়ালা। রেলের এই রিপোর্টকে সত্যি বলেই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরাও জানিয়েছেন, কিছু না জেনেই ওই চা-ওয়ালা আগুন লেগেছে বলেই চিৎকার করে ছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আগুন লেগেছে পুষ্পক এক্সপ্রেসে। এই খবর শোনা মাত্রই চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন অনেকেই। এরপরেই অনেকেই পাশের লাইনে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেইসময় পাশের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল কর্নাটক এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের ধাক্কায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর এখানেই প্রশ্ন, পাশের লাইনে এত লোক কেন দেখতে পাননি কর্নাটক এক্সপ্রেসের ড্রাইভার ? রেলের দাবি, যে জায়গায় দুর্ঘটনা, সেখানে একটা বাঁক রয়েছে। আর সেই বাঁকের ফলেই প্রাথমিক ভাবে ট্র্যাকের উপর লোক থাকার উপস্থিতি বুঝতে পারেননি কর্নাটক এক্সপ্রেসের চালক।
জানা গিয়েছে, গতি আস্তে করতে গিয়ে হঠাৎ ব্রেক কষেছিলেন পুষ্পক এক্সপ্রেসের চালক হঠাৎ ব্রেক কষেছিলেন। যার জেরে চাকার ঘষায় হালকা ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। আর সেই ধোঁয়াকেই নাকি আগুন মনে করেছিলেন স্থানীয় এক চা-ওয়ালা। যাত্রীরা অ্যালার্ম চেন টানতেই পুষ্পক এক্সপ্রেসের চালক ট্রেনের ফ্ল্যাশার আলো জ্বালিয়ে দেন। উল্টো দিক থেকে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেসের চালক সেই আলো দেখে বিপদ আঁচ করে ট্রেনের গতি কমাতে শুরু করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।