দু'হাতেই লিখতে পারেন তরতর করে, এমন মানুষের প্রতি ফেলুদা পড়া বাঙালির শ্রদ্ধা বরাবরই। 'থ্রি ইডিয়টস' সিনেমায় দেখানো হয়েছিল, সময় বাঁচানোর জন্য দু'হাতেই লেখেন বোমান ইরানি অভিনীত 'ভাইরাস' চরিত্রটি! কিন্তু, বাস্তবে চিত্রটা অত সহজ নয়। পরিসংখ্যান বলে, দুনিয়ার ১ শতাংশেরও কম মানুষ দু'হাতেই সমান দক্ষতায় লিখতে পারার এই বিশেষ গুণের অধিকারী। এবার তাঁদের সবাইকেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরৌলির বুধেলা গ্রামের বীণা বাদিনি পাবলিক স্কুলের পড়ুয়ারা। এই 'বিস্ময়' স্কুলের ১০০ জনেরও বেশি পড়ুয়া দু'হাতেই সমান দক্ষতায় লিখতে পারেই শুধু নয়, তারা হিন্দি, সংস্কৃত, উর্দু, ইংরেজি, স্প্যানিশের মতো ৫টি ভাষায় রীতিমত পারদর্শী!
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্রপ্রসাদ দু'হাতেই সমান দক্ষতায় লিখতে পারতেন। তাঁর কাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই এই স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে পথচলার শুরু বলে জানান প্রিন্সিপাল বীরাঙ্গদ শর্মা।
১৯৯৯ সালে শুরু হওয়া এই স্কুলটি থেকে এখনও পর্যন্ত পাশ করা পড়ুয়াদের মধ্যে এমন ৪৮০ জন রয়েছে, যারা 'সব্যসাচী'। নিয়মিত ক্লাসের সঙ্গেই স্কুলের পড়ুুয়ারা যোগা এবং প্রাণায়াম করে অন্তত ১ ঘণ্টার জন্য।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, এই স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে অধিকাংশই একটা ২৫০ শব্দের লেখার ১ মিনিটের মধ্যে অনুবাদ করে ফেলতে পারে! এক এক জন পড়ুয়া ১১ ঘণ্টায় ২৪ হাজার শব্দ লিখতে পারে। উর্দুতে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যা ৪৫ সেকেন্ডে গুনতে পারে।