লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী ( Narendra Modi ) -বিরোধিতার রণকৌশল স্থির করতে বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসছে বিরোধীরা (Opposition Meeting) । আজ ,সেই বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকের দিন । সোমবার বিকেলেই একটি সৌজন্যমূলক বৈঠক হয়েছে বিরোধীদের । নৈশভোজও হয় । এদিন, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস সহ ২৬টি দল যোগ বৈঠকে যোগ দেবে । অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী নেতারা যখন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত থাকবেন, তখন দিল্লিতে বৈঠক করবে এনডিএ ।
এদিন, তৃণমূলের তরফে বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সোমবারই বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছেন তাঁরা । নৈশভোজে ছিলেন দু'জনে । সেখানে মমতা ও সনিয়াকে প্রায় দুই বছর পর একসঙ্গে দেখা গিয়েছে । বৈঠকে একেবারে সনিয়ার পাশের সিটই ছিল মমতার, যা বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ বলে মন করছে রাজনৈতিকমহল । এদিকে, সোমবারের বৈঠকে যোগ দেননি শরদ পাওয়ার । প্রথম দিনের বৈঠকে শরদ যোগ না দেওয়ায়, তৈরি হয়েছে জল্পনা । মঙ্গলের বৈঠকে তাঁকে তিনি উপস্থিত থাকবেন কি না, সেই বিষয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ।
সাম্প্রতিক অতীতে, বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তুলতে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । একাধিক বিরোধী বৈঠক হয়েছে । কিন্তু, তার একটাও ফলপ্রসূ হয়নি । এরই মধ্যে মঙ্গলে আরও একদফা বৈঠক। এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা মমতা-সনিয়া-কেজরী-অখিলেশ-ইয়েচুরিদের। শেষ পর্যন্ত কি দিশা মিলবে বিরোধী জোটের? নাকি অঙ্ক হবে আরও জটিল? স্থানীয় সমীকরণকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় স্বার্থ কীভাবে বজায় রাখবে দলগুলি?
নজর থাকবে অবশ্যই মমতা-সনিয়ার গতিবিধির দিকে। ব্যক্তিগত স্তরে উভয়েরই সম্পর্ক বেশ ভাল। কিন্তু রাজ্যে ফিরে কংগ্রেসকে ঠেস দিতে ছাড়েন না মমতা। অধীরও নাগাড়ে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন মমতাকে। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের বন্ধুত্বের পথে কাঁটা হয়ে রয়েছেন অধীর। এখন আর শুধু তিনি একাই নন, সম্প্রতি রাজধানী খাড়্গের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল-বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন উত্তর-পূর্বের কংগ্রেস নেতারাও। খাড়্গে-সনিয়া-রাহুলরা যতই চেষ্টা করছেন তৃণমূলকে কাছে টানতে, দলের অন্দরে কিন্তু ঘাসফুল বিরোধী সুর বেড়েই চলেছে। এখন দেখার মঙ্গলের বৈঠকে জোটের আকাশে কালো মেঘ কাটে কি না।