ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল দুর্ঘটনার প্রথম খবর বাইরে গিয়েছিল ট্রেনের ভিতর থেকে। লাইভ লোকেশন পাঠিয়ে প্রথম জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার দফতরে খবর পাঠিয়েছিলেন ওই ট্রেনের যাত্রী ভেঙ্কটেশ। যিনি নিজেও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ান। এসি কামরার টিকিট কেটেই হাওড়া থেকে চেন্নাই ফিরছিলেন তামিলনাড়ুর এই বাসিন্দা। বাহানাগায় ঝাঁকুনি অনুভব করতেই বিপদের গন্ধ পেয়েছিলেন তিনি। প্রথমে কলকাতায় সদর দফতরেই খবর পাঠিয়েছিলেন এই জওয়ান।
মূলত ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন ভেঙ্কটেশ। তবে কলকাতাকে খবর পাঠিয়ে বসে ছিলেন না। বরং দফায় দফায় চেষ্টা করেছেন দ্রুত ওই কামরা থেকে দুর্গতদের বাইরে বার করে আবার পাশের কামরায় ফিরে যেতে। ভেঙ্কটেশ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে টিমের আসতে সময় যে লাগবে, তা তিনি বুঝে গিয়েছিলেন। তাই দ্রুত চেষ্টা করছিলেন বেশি সংখ্যক মানুষকে নিরাপদে আনতে।
তবে এই কাজে স্থানীয়রা ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন বিপর্যয় বাহিনীর ওই জওয়ান। কারণ কামরায় আলো চলে গিয়েছিল। তাই প্রাথমিক ভাবে উদ্ধারে অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু গ্রামবাসীদের সাহায্যে দ্রুত পিছনের দিকে থাকা কামরা থেকে যাত্রীদের আহত অবস্থায় তিনি উদ্ধার করেন।