মরশুমের প্রথম তুষারপাতে খুশি পর্যটকরা। কিন্তু তুষারপাত হতেই বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে হিমাচলের আবহাওয়ায়। সাদা বরফের চাদরে হিমাচল প্রদেশ ঢাকতেই বিপদ এড়াতে বন্ধ করা হল ১০০টিরও বেশি রাস্তা।
সাধারণত এই সময়ে তুষার দেখতে পাওয়া যায় না হিমাচলে। কিন্তু এই বছর পাহাড়ে আগেই শীত এসে পড়েছে। ইতিমধ্যেই লাহৌল ও স্পিতি জেলার আদিবাসী এলাকায় তিন্দি পাঙ্গি রাস্তায় ধস নেমে ৭০ কিলোমিটার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
দুর্ঘটনার কোনও খবর পাওয়া না গেলেও, বিপত্তি এড়াতে লাহৌল ও স্পিতি জেলার প্রায় ৯০টি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩ নং জাতীয় সড়ক এবং ৩০৫ নং জাতীয় সড়ক রয়েছে। ফলে প্রভাব পড়েছে রোটাং পাস ও জালোরি পাসেও। এছাড়াও বিপত্তি এড়াতে কুল্লুতে ৬টি রাস্তা, কংরাতে ৩টি, চাম্বাতে ২টো এবং মান্ডিতে ১টা রাস্তা বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে।
শীত পড়তেই তুষারপাত অনুভব করতে পর্যটকরা পাহাড়ে ভিড় জমান। তাপমাত্রা কম থাকার কারণে এই সময় হিমাচলের মানালি, নারকান্দা, কুফরি, শিমলা, ডালহৌসি এবং ধর্মশালায় পর্যটকদের প্রচুর ভিড় হয়। তুষারপাত পর্যটকদের খুশির কারণ হলেও পাহাড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। পাহাড়ের বাসিন্দাদের জনজীবন কষ্টকর হয়ে ওঠে।