ওই দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রয়াগে শেষ হবে মহাকুম্ভ। প্রশাসনের আশা, মহাকুম্ভের শেষদিনে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সঙ্গমে ডুব দেবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে, ডুব দেবেন কী ভাবে। কারণ, ছোটবড় গাড়ির চাপে প্রয়াগে আসার আগে ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে হাঁসফাঁস করছে যানজট।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই ভিড়ে আটকে যাচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে জরুরি পরিষেবার যানবাহনও। কেউ কেউ আবার কুম্ভে যাওয়ার আগেই ১২ ঘণ্টা গাড়িতেই রাত কাটিয়ে ফেলছেন। দুর্ভোগে আটকে থাকা যাত্রীদের অভিযোগ, ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাট নয়, পথই আপাতত মহাকুম্ভ মেলায় পরিণত হয়েছে। যেদিকে দুচোখ যায়, শুধু গাড়ির পর গাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোনও দিকে নড়ার উপায় নেই।
কাটনি থেকে প্রয়াগ পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০০ কিমি। রবিবার থেকেই আটকে রয়েছে এই রাস্তা। মূলত এই রাস্তায় ভিড় করছে পড়শি রাজ্যের গাড়ি। বুধবার মাঘী পূর্ণিমার স্নান। সেই স্নান করতেই প্রয়াগে এসেছেন লাখো মানুষ। কিন্তু রাস্তায় যা অবস্থা, তাতে সেই স্নান তাঁরা করতে পারবেন কীনা, তা নিয়ে এখন সন্দেহ।
এবার গোড়া থেকেই প্রয়াগের গায়ে লেগেছে রাজনীতির রং। ভরা ট্রাফিক নিয়েই এবার যোগী সরকারকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনের ভরাডুবির জন্য কুম্ভের আজ এই দশা।