করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিগন্যালিং ব্যবস্থায় যে ত্রুটি ছিল সেটা কেন রেলকর্মীদের নজরে এল না সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পাশাপাশি রুট সেট করার জন্য এবং সিগন্যাল পরিবর্তন করার জন্য বোর্ড ইন্টারলকিং প্যানেল দুটি সুইচ থাকে। সেখানে কোনও গলদ ছিল কিনা তা খোঁজার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বাহানাগা বাজার স্টেশনের আগে একটি পয়েন্টে আধুনিক ইলেকট্রনিক বুম ব্যারিয়ার বসানো হয়েছিল। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে ওই কাজ চলে। তারপর সন্ধে ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ মেইন লাইন ফাঁকা রাখার জন্য লুপ লাইনে পাঠানো হয়। প্রশ্ন উঠছে লুপ লাইনে মালগাড়ি ঢোকানোর পরেও কেন রুট পরিবর্তন করা হল না।
অন্যদিকে প্যানেল ইন্টারলকিং সিস্টেমে নির্দিষ্ট সুইচ ছাড়াও অ্য়াক্সেল কাউন্টার এবং রিলে থাকে। এর মাধ্যমে কোনও লাইনে ট্রেন ঢুকলে তা জানতে পারেন কর্তব্যরত ব্যক্তি। পয়েন্টের অবস্থান এবং রিলের সঙ্গে একটি সেন্সরও বসানো থাকে। এখানেও নজর রয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের। কীভাবে পয়েন্টের অবস্থান পড়তে ভুল করল সেন্সর।