ত্রিপুরার (Tripura) নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (Bjp) রাজ্য সভাপতি (State President) মানিক সাহা (Manik Shaha)। পেশায় চিকিৎসক বর্তমানে রাজ্যসভার (Rajya shabha) সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও বিধানসভা আসন থেকে জিতিয়ে আনতে হবে। তবে সেটা খুব একটা কঠিন হবে না বিজেপির পক্ষে। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪টিতে জয় পেয়েছিল। তারই কোনও একটি থেকে মানিকের জয় নিশ্চিত করতে হবে বিজেপি।
এদিকে, মুখ্য়মন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে সংগঠনের কাজ করবেন বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের আগে বিপ্লবের আচমকা পদত্যাগে শনিবার বিকেলে খানিকক্ষণের জন্য ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের আগে বেফাঁস বিপ্লবে লাগাম পড়াতেই দিল্লিতে ডেকে তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারা (J P Nadda)। তাই ইস্তফা দিয়েই বিপ্লব জানিয়েছেন, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘‘এত দিন প্রধানমন্ত্রীর মার্গ-দর্শনে আমি কাজ করে এসেছি। আমি ত্রিপুরায় ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। এ বার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছাতেই সংগঠনের কাজ করব।”
জিম প্রশিক্ষক থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী-- বিপ্লবের রাজনৈতিক উত্থান অনেকটাই উল্কার গতিতে। ২০১৮ সালে তাঁর নেতৃত্বেই ত্রিপুরায় আড়াই দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটায় বিজেপি। সাংগঠনিক কৃতিত্ব হিসেবে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সেই সময় বিপ্লবকেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন মোদী-শাহরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কার্যকালে সন্তুষ্ট ছিলেন না বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে সঙ্ঘাতের জেরেই দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ সহ বেশ কিছু বিধায়ক। তাই বিপ্লবের ইস্তফা আচমকা ঘটে যাওয়া কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এর আগে গুজরাট ও উত্তরাখণ্ডেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে বিজেপি। এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই পদত্যাগীদের। এ বার সেই পথের পথিক হতে পারেন বিপ্লবও।