সদ্যোজাত সন্তানের সঙ্গে প্রতিটা মুহূর্ত কাটাতে চেয়েছেন । তার জন্য সারারাত জেগে থাকা, ডায়পার বদলানো থেকে একটু একটু করে বেড়ে ওঠা,কোনওটাই মিস করতে চাননি কর্পোরেটে চাকুরিরত অঙ্কিত যোশি ৷ আর এসবের জন্য মাত্র এক সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটি যথেষ্ঠ নয় । তাই,সদ্যোজাত মেয়ের দেখাশোনা করার জন্য মোটা বেতনের চাকরি নির্দ্বিধায় ছেড়ে দিলেন তিনি । আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের কেউ তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে পারেনি । তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছেন কঠিন ভবিষ্যতের কথা । কিন্তু, কারও কথা শোনেননি । শুধু সঙ্গে ছিল স্ত্রী । তাই মেয়ের জন্মের কিছুদিন আগেই চাকরি ছেড়ে দেন অঙ্কিত । এখন মেয়ের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন খড়গপুর আইআইটি-র প্রাক্তনী । হিউম্যানস অব বম্বে-এর তরফে এখবর প্রকাশ্যে আশার পরই তা এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল ।
সন্তানের জন্য বাবাদের চাকরি ছাড়ার ঘটনা সেভাবে শোনা যায়নি । সাধারণত মায়েদেরই বারবার সন্তানের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে । কিন্তু, অঙ্কিত যোশীর ঘটনায় অবাক সকলে । হিউম্যানস অব বম্বে-কে অঙ্কিত জানিয়েছেন, তিনি একটি কোম্পানির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন । এই চাকরির জন্য ঘন ঘন তাঁকে বিদেশ ভ্রমণ করতে হতো । মেয়ে স্পিতির জন্মের পর তিনি দূরে থাকতে চাননি । আর কোম্পানি তাঁকে এক সপ্তাহের বেশি পিতৃত্বকালীন ছুটি দিতেও রাজি হয়নি । তাই তিনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ।
জোশী জানিয়েছেন,কয়েক মাস পর থেকে নতুন চাকরি খোঁজা শুরু করবেন তিনি । তবে এখন মেয়েকে সময় দেওয়া ছাড়া তাঁর আর কোনও কাজ নেই । অন্যদিকে, স্ত্রীয়ের জন্যও গর্বিত তিনি । অঙ্কিত জানিয়েছেন,তাঁর স্ত্রী ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়েছেন ৷ স্পিতির জন্মের পরই চাকরিতে প্রোমোশনও পেয়েছেন তিনি ৷ তাই, স্ত্রীর কেরিয়ারের সাফল্যে এবং মাতৃত্বে গর্বিত অঙ্কিত ৷ শেষে অঙ্কিত জানিয়েছেন, এধরনের সিদ্ধান্ত কোনও পুরুষের পক্ষে নেওয়া খুবই কঠিন । অনেকে তো বিষয়টা কল্পনাই করতে পারেন না । তাই অঙ্কিতের আশা, তাঁর এই পদক্ষেপের পর কোম্পানিগুলি পিতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ কিছুটা বাড়ানোর ব্যাপারে যেন আরও ভাবনা-চিন্তা করেন । অঙ্কিতের এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা ।