শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের (Shraddha Walker Murder) রেশ কাটেনি । তারই মধ্যে আরও এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষ্মী থাকল দিল্লিবাসী (Delhi) । লিভ-ইন-পার্টনারকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে 'খুন'করল প্রেমিক । শুধু তাই নয়,অভিযোগ, ছুরি দিয়ে প্রেমিকার মুখ ফালা ফালা করে দিয়েছে ওই অভিযুক্ত, কাটা হয়েছে আঙুলও । ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পশ্চিম দিল্লির (Delhi Crime) তিলক নগর এলাকায় ঘটনা ।
প্রেমিকের নাম রেখা (৩৫)। তাঁর আগে বিয়ে রয়েছে । স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে বহুদিন । অভিযুক্ত মনপ্রীতের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর কিশোরী মেয়েক নিয়ে তার সঙ্গেই থাকতেন রেখা । মনপ্রীতেরও স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর মনপ্রীত জেরায় জানিয়েছে, সম্প্রতি, স্ত্রী ও ছেলের কাছে ফিরে যেতে চেয়েছিল সে । কিন্তু, রেখা বাধা দেয় । এই নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হতো তাদের মধ্যে । তাই রেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাকে 'খুন' করে মনপ্রীত । পুলিশ জানিয়েছে, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, হত্যার চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনের আওতাতেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মনপ্রীতের সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ির ব্যবসা ছিল । পুলিশ জানতে পেরেছে, নথি জাল করে চুরি করা গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রি করতেন মনপ্রীত । তার এই অপরাধের কথা জেনে যায় রেখা । যখন রেখা বুঝতে পারেন, মনপ্রীত তাঁর স্ত্রীয়ের কাছে ফিরে যেতে চাইছে, তখন তার অপরাধ প্রকাশ্যে আনারও হুমকি দেন মনপ্রীতকে । প্রায়ই এনিয়ে দু'জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি হত । মনপ্রীত জেরায় জানিয়েছে, এরপরই রেখাকে 'খুন'-এর সিদ্ধান্ত নেয় মনপ্রীত ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রেখাকে খুনের আগে রেখার ১৬ বছর বয়সি মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে দেয় মনপ্রীত । তারপর 'খুন' করে বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় । পরে সন্দেহ হওয়ায় কিশোরী মেয়ে তার আত্মীয়কে ফোন করে । সেই আত্মীয় পুলিশে খবর দিলে দরজার তালা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখার মৃতদেহ উদ্ধার করে । মনপ্রীত পালিয়ে গেলেও তার ফোন ট্র্যাক করে লোকেশন বের করে পুলিশ । অপরাধের ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই পাটিয়ালা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।