রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (President Election) বিরোধীদের একজোট করতে উদ্যোগী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । সেই উদ্দেশে, মঙ্গলবারই দিল্লিতে পৌঁছেছেন তৃণমূল নেত্রী । জানা গিয়েছে, দু'দিনের দিল্লি সফরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর ।
বুধবার দুপুর তিনটেয় দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে ২২টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এর মধ্যে আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন ৷ মঙ্গলবারই দিল্লিতে পৌঁছে, শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা । তার ঠিক আগে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির সুপ্রিমো শরদ পওয়ার ।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । চিঠিতে মমতা যা লিখেছেন তার সারমর্ম হল,রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । তাই দেশের গণতন্ত্রের এই বিপদের সময় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষে সমস্ত প্রগতিশীল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির জোট বাঁধা উচিত । তৃণমূল নেত্রী এই চিঠি পাঠিয়েছেন সনিয়া গান্ধি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পিনারাই বিজয়ন, উদ্ভব ঠাকরে, নবীন পট্টনায়ক, ও এমকে স্টালিন সহ মোট ২২ জন বিরোধী নেতানেত্রীকে । এদিনের বৈঠকে, ২২ জন বিরোধী নেতা-নেত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ।
এদিকে, রাষ্ট্রপতি পদে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি । সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল । মনে করা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে হাতিয়ার করে জাতীয় স্তরে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছেন মমতা ।
দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ জুলাই। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে আগামী ১৮ জুলাই।নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে ২১ জুলাই।