শিল্পপতি এবং টাটা গ্রুপের সান্মানিক চেয়ারম্যান রতন টাটার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুজনেই রতন টাটাকে পরোপকারী বলে উল্লেখ করেছেন। এমনকি শিল্পজগতের অপূরণীয় ক্ষতি বলেও উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রতন টাটার প্রয়াণে সাধারণ মানুষ যেমন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন তেমনই একাংশ মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি। তার কারণ একটাই, সিঙ্গুর থেকে ন্যানো কারখানা সরিয়ে নেওয়া।
২০০৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে টাটার ন্যানো কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মূল কারখানা এবং অনুসারী শিল্প কারখানা তৈরির জন্য সিঙ্গুরে ১০০০ একর জমি টাটার হাতে তুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপর আন্দোলনে নামেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার দাবি করেন তিনি।
আন্দোলনের জেরে ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর ন্যানো প্রকল্প সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রতন টাটা। তারপর গুজরাতে তৈরি হয়েছিল সেই কারখানা। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। ২০১৪ সালে একবার রাজ্যে এসেছিলেন রতন টাটা। সেইসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় একপ্রকার আক্ষেপ করে রতন টাটা বলেছিলেন, বিমানবন্দর থেকে পাঁচতারা হোটেলে যাওয়ার পথে সেভাবে শিল্পায়ন চোখে পড়েনি তাঁর।
২০২৪ সালের মহাষষ্ঠীর দিনেই চিরতরে বিদায় নিলেন রতন টাটা। নেটিজেনদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শিল্প জগতের নক্ষত্র বলেও অবিহিত করেছেন।
এদিকে রতন টাটাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে তাঁর দেহ শায়িত রাখা হবে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।