দুই বছর পর আবারও পাশাপাশি দুই নেত্রী । একজন সোনিয়া গান্ধী, আরেকজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সোনিয়ার অনুরোধ রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । এদিন, নৈশভোজের বৈঠকে একেবারে ঠিক সোনিয়ার পাশের চেয়াই বসে থাকতে দেখা গেল মমতাকে । যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
সোমবার বেঙ্গালুরুর তাজ ওয়েস্ট এন্ড হোটেলে ২৬টি বিরোধী দলের প্রাথমিক সৌজন্য বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল । বৈঠকে যোগ দেন উদ্ধব ঠাকরে, অখিলেশ যাদব থেকে এম কে স্টালিন, অরবিন্দ কেজরীবাল, নীতীশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা । তবে, বৈঠকের একটা ছবিই এখন সংবাদ শিরোনামে, সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ঘোরাফেরা করছে । যেখানে দেখা গিয়েছে, মমতা ও সনিয়া পাশাপাশি বসে আছেন । কংগ্রেস নেত্রীর আরেক পাশে মল্লিকার্জুন খড্গে । তাঁর পাশে নীতীশ কুমার, তারও পরে রাহুল গান্ধী । জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে দুই নেত্রী একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন । মমতার পা কেমন রয়েছে, সেই বিষয়ে খোঁজ নেন সনিয়া । বৈঠকের পর ছিল নৈশভোজ । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে জানান, তাঁদের মধ্যে ভাল আলোচনা হয়েছে ।
আরও পড়ুন, Suvendu Adhikari : সারদা মামলায় 'যুক্ত' মুখ্যমন্ত্রী, প্রমাণ নিয়ে CBI-এ যাচ্ছেন শুভেন্দুর !
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাইয়ের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন না বলেই শোনা গিয়েছিল । আসলে সম্প্রতি তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে । চিকিৎসকরা এই অবস্থায় বৈঠকে যোগ না দেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছিলেন । কিন্তু, যতই দূরত্ব তৈরি হোক, সনিয়ার অনুরোধ ফেলতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী । আসলে, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও, প্রথম থেকেই গান্ধী পরিবারের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধা কিন্তু চোখে পড়েছে । এবারও পড়ল ।
২০২১-এর জুলাই মাসে শেষ বার দিল্লিতে দশ জনপথে গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাহুল গান্ধীও ছিলেন সেই বৈঠকে ছিলেন । যদিও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, সব বিরোধীদের বৈঠকে নেওয়া কোনও সিদ্ধান্তেই কংগ্রেসের আগ্রহ দেখা যায়নি। এর পরে গোয়া বা মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দুই দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। কিন্তু, এদিনের বৈঠকে কার্যত সেই দূরত্ব উধাও বলা চলে ।