১৫ অগাস্ট, ১৯৪৭। দিল্লির লালকেল্লায় উঠছে তিরঙ্গা। জন্ম হচ্ছে স্বাধীন ভারত রাষ্ট্রের। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তে মহাত্মা কই? সব উদযাপন থেকে দূরে, প্রচারের আড়ালে জাতির জনক তখন কলকাতার বেলেঘাটায়।
কলকাতায় তখন দেশভাগের যন্ত্রণা, বাংলা ভাগ হচ্ছে, স্বাধীনতা প্রাপ্তির আনন্দ মুছে দিচ্ছে প্রিয়জন, ভিটে মাটি ছাড়ার দীর্ঘশ্বাস। ২৫ দিনের জন্য গান্ধীজি চলে এলেন কলকাতায়। তাঁর ঠিকানা হল, ১৫০বি বেলেঘাটা মেইন রোড-এর হায়দরি মঞ্জিল। ১২ অগাস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বাড়িতেই কেটেছিল মহাত্মার। স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিনে মুখে জলও তোলেননি মহাত্মা, তখন তাঁর ৭২ ঘন্টার- উপবাস চলছে। এমন যন্ত্রণার স্বাধীনতা, দাঙ্গা-হিংসার স্বাধীনতা তো দেখতে চাননি মহাত্মা।
Independence Day: মাউন্টব্যাটন ভারত ছাড়লেন, 'ইন্ডিয়া' তাঁকে ছাড়ল কই? নাতনির নামে জড়িয়ে থাকল স্মৃতি
জাতির জনকের বিষণ্ণ স্মৃতি মাখা সেই হায়দরি মঞ্জিল এখন ‘মহাত্মা গান্ধী জাতীয় স্মারক ভবন’। সেখানে রয়েছে গান্ধীজির ব্যবহৃত নানা জিনিস, তাঁর জীবনের নানা কথা, বাণী। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারি। অথচ ১৫ অগাস্টের আনন্দ-উৎসবের অংশ হতে পারেননি তিনি। এক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মলগ্নে জাতির জনকের কেটেছিল নিভৃতে, বিষণ্ণতায়, সে কথা-ই মনে করিয়ে দেয় হায়দারি মঞ্জিল, আজকের গান্ধী ভবন।