দেশে ক্রমশ বাড়তে থাকা যৌন অপরাধের জন্য দায়ী লিভ-ইন সম্পর্ক বা বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকার মতো ঘটনা। একটি ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে এমনই পর্যবেক্ষণ মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর প্রেমিকাকে পর পর দু’বার জোর করে গর্ভপাত করাতে বলেন। দু’জনে একসঙ্গে থাকাকালীন যুবতীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের ইনদোর বেঞ্চের বিচারপতি-র মত, হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে আফশোস না করে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার উচিত, এমন একজন মানুষের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে জড়ানো, যিনি ভবিষ্যতে জীবনসঙ্গী হওয়ার যোগ্য।
বিচারপতি সুবোধ অভ্যঙ্করের বেঞ্চ এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৫ বছরের এক যুবকের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে এই মন্তব্য করেছেন। আদালতের বক্তব্য, এই ধরনের সম্পর্ক, ভারতীয় সংস্কৃতির অবমাননা করে অশ্লীল আচরণ প্রচার করে ও যৌন অপরাধের জন্ম দেয় ।
সূত্রের খবর, ওই মহিলা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। দুইবার তিনি গর্ভবতী হয়েছিলেন। কিন্তু প্রেমিকের চাপে ভ্রূণ নষ্ট করতে বাধ্য হন তিনি। এরপরই সম্পর্ক ভেঙে অন্য একজনের সঙ্গে বাগদান সারেন ওই মহিলা। এরপরই মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে ওই যুবক। এমনকী হবু শ্বশুরবাড়িতেও ওই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও পাঠিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এরপরই বিয়ে ভেঙে যায় ওই মহিলার। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন মহিলা।