সারা বিশ্বের মধ্যে সৈকত-শহর পুরীর রথযাত্রার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। প্রতিবছর এই মহাযজ্ঞে অংশ নিতে দেশ বিদেশ থেকে লাখো লাখো ভক্তের সমাগম হয়। নিয়ম নিষ্ঠা মেনে তৈরী হয় জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার রথ। দুই মাস ধরে এই রথ তৈরী করা হয়। রথ তৈরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল কাঠ নির্বাচন। সোনার কুড়ুলে সেই কাঠ কেটে শুরু হয় কাজ।
এই সময় কারিগররা নিরামিষ খান, পালন করেন ব্রহ্মচর্য। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই জগন্নাথের রথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যায়। গাছ পুজো করার পর সেই গাছ সোনার কুড়ুলে কাটা হয়। রথ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। জগন্নাথের রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’, ভগবান বলরামের রথের নাম 'তালধ্বজ' এবং দেবী সুভদ্রার রথের নাম হল 'দর্পদলন'।এই রথে চড়েই মন্দির ভ্রমণ করেন তিন দেবতা। রথের চাকা তৈরিতেও রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য।