২ মাসের মেয়েকে খুন করে নদীর জলের ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অন্ধ্রপ্রদেশের মহিলার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছিল জেলা দায়রা আদালত। কিন্তু নথি প্রমাণের অভাবে মহিলাকে মুক্তি কর্নাটক হাই কোর্টের (Karnataka High Court)।
২৪ অগাস্ট, ২০১৬। ঘটনাটি কর্নাটকের তুমাকুরু জেলার মাধুগিরির । জানা গিয়েছে, সন্তানের শ্বাস ও স্নায়ুজনিত সমস্যা ছিল। চিকিৎসার জন্য কর্নাটকের কোরাটাগেরের হাসপাতালে নিয়ে আসেন কবিতা ও তার স্বামী মঞ্জুনাথ। কিন্তু চিকিৎসার এত খরচ জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছিল তাদের। ২ মাসের শিশুসন্তানকে খাওয়ানোর পয়সাও ছিল না দম্পতির। অভিযোগ, সেই রাগেই কবিতা সুবর্ণমুখী নদীতে (Subarnamukhi River) সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দেন। থানায় স্ত্রীর নামে সন্তান হত্যার অভিযোগ করেন স্বামী মঞ্জুনাথ। ২০১৭ সালে ২২ জুলাই। মোট ১৫ জন প্রত্যক্ষদর্শী ও ১৬টি নথিপ্রমাণ পেশ করা হয় আদালতে। চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও নগর দায়রা আদালতের বিচারক ৩০২ ধারায় কবিতাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। দেওয়া হয় যাবজ্জীবনের সাজা (Life Sentenced)।
আরও পড়ুন: বানভাসি অসমের পাশে আমির খান, ত্রাণ তহবিলে দান ২৫ লক্ষ টাকা
গত মাসে কর্নাটক হাই কোর্টে কবিতার আবেদন গ্রহণ করেন। বিচারপতি কে সোমাশেখর ও বিচারপতি শিবাশঙ্কর অমরান্নভরের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে সাজা মুকুব করা হয় কবিতার। তাঁকে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।