হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন ভিনেশ ফোগাত। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বজরং পুনিয়াও। এরপরই দুই কুস্তিগিরকে বেনজির আক্রমণ কুস্তি সংস্থার অপসারিত প্রধান ব্রিজভূষণ শরন সিংয়ের। তাঁর দাবি, চুরি করে অলিম্পিকে গিয়েছিলেন ভিনেশ ফোগাত।
সংবাদ সংস্থা ANI-কে ব্রিজভূষণ জানিয়েছেন, "খেলাধুলোর ক্ষেত্রে ভারতের মুকুট হরিয়ানা। গত আড়াই বছর ধরে সেখানেই বন্ধ কুস্তি। কোনও ট্রায়াল ছাড়াই এশিয়ান গেমসে গিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া। এটা কি মিথ্যা?" ভিনেশকে একহাত নিয়ে তাঁর দাবি, "একই দিনে কি কেউ দুটি ভিন্ন বিভাগের ট্রায়ালে যেতে পারে! ওজন নেওয়ার পর পাঁচ ঘণ্টা ট্রায়াল বন্ধ রাখা যায়?" এরপরই ব্রিজভূষণ জানান, "আপনি কুস্তিতে জেতেননি। চুরি করে ওখানে গিয়েছিলেন। ঈশ্বর আপনাকে তার শাস্তি দিয়েছে।"
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং। ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধানও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌননিগ্রহের অভিযোগ আনেন কুস্তিগিরদের একাংশ। অভিযোগকারীদের মধ্যে প্রধান মুখ ছিলেন বিনেশ, বজরং ও সাক্ষী মালিক। তাঁরা যন্তর-মন্তরের সামনে ধর্নায় বসেন। বিনেশদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কুস্তি সংস্থা থেকে নির্বাসিত করা হয় ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বিনেশ ও বজরং। হরিয়ানার জুলানা থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন বিনেশ। এই সিদ্ধান্তের পরই তাঁদের উপর তোপ ব্রিজভূষণ শরন সিংয়ের।
ব্রিজভূষণের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে বিনেশদের আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান জানান, তিনি কোনও মেয়ের সম্মানহানি করেননি। মেয়েদের অসম্মান করার জন্য যদি কাউকে দায়ী করতে তা হলে সেটা বজরং ও বিনেশকে করা উচিত।
এদিকে সাক্ষী মালিক কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছেও অনেক রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিনেশ ও বজরংয়ের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের লড়াই মেয়েদের জন্য। সেটার কোনও ক্ষতি যাতে না হয়, তাঁর লড়াই চলবে। সাক্ষীর মতে, যতক্ষণ মেয়েদের নিগ্রহ বন্ধ না হচ্ছে, লড়াই করে যাবেন। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারেও তিনি নেই।