সিগন্যাল ভেঙে ছিল মালগাড়ি। উত্তরবঙ্গের রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় নিজেদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এই দাবি করল ভারতীয় রেল। নিজেদের পর্যবেক্ষণে এই ঘটনার জন্য মালগাড়ির মৃত চালক অনিল কুমার, সহকারি চালক মনু কুমার এবং মালগাড়ির গার্ড ভবেশ কুমার শর্মাকেই দায়ী করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে রেলের দাবি, সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে একটা দীর্ঘ সময় রাঙাপানি থেকে চটেরহাটের মধ্যে অটোমেটিক সিগন্যাল অকেজো ছিল।
এর মধ্যে, সকাল সাড়ে আটটার কিছু আগে রাঙাপানি ছেড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট দিয়েই তাকে ছাড়া হয়েছিল। সকাল পৌনে নটার কিছু আগে দুটি এই সংক্রান্ত মেমো দিয়ে ছাড়া হয়েছিল মালগাড়িকে। রেলের দাবি, ওই নিয়ম নজরে রেখেই পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিয়মের তোয়াক্কা না করে দ্রুত গতিতে মালগাড়ি চালানো হয়েছিল। এর ভিত্তিতেই দায়ী করা হয়েছে মালগাড়ির চালক, সহকারী চালক ও গার্ডকে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আধিকারিক জনক কুমার গর্গের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রেলের একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত সোমবার দিনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।