ব্র্যান্ডেড ওষুধ (Branded generic medicine) প্রেসক্রাইব করতে পারবেন না চিকিৎসকরা। প্রেসক্রাইব করতে হবে জেনেরিক ওষুধ (Generic medicine)। তা না করলে শাস্তির মুখে পড়া থেকে শুরু করে সাময়িক সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল- হতে পারে সবই। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত চিকিৎসক-সমাজ। প্রশ্ন উঠেছে জেনেরিক ওষুধের গুণমান নিয়েও। ভারতীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (Indian Medical Association) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডক্টর জনরোজ অস্টিন জয়লালের কথায়, মাত্র ২ শতাংশ জেনেরিক ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করা হয়। তাঁর কথারই প্রতিধ্বনি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডক্টর শরদ আগরওয়ালের কথাতেও।
তিনি বলেন, যেহেতু ১০০ শতাংশ জেনেরিক ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করা হয় না, তাই ওই ধরনের ওষুধ প্রেসক্রাইব করলে তা চিকিৎসকের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অসাধু চক্র চলছে রাজ্যে, অভিযোগ রাজ্যপালের
উল্লেখ্য, বিশ্বে জেনেরিক ওষুধের সবথেকে বেশি রফতানি করে ভারত। ২০২২ সালে ১৭ বিলিয়ন ডলারের জেনেরিক ওষুধ রফতানি করা হয়েছিল।
গত ২ আগস্ট এনএমসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষ করে ডাক্তারের লিখে দেওয়া ব্র্যান্ডেড ওষুধ কিনতে বিপুল টাকা খরচ করতে হচ্ছে। জেনেরিক ওষুধের দাম ব্র্যান্ডেডের চেয়ে ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ কম।