সমাজমাধ্যমেই পরিচয়। সেখান থেকেই সংসদের ঢুকে পড়ার পরিকল্পনা। বুধবার সংসদের ঘটনায় চার জনকে টানা জেরার পর রাতে এই দাবি দিল্লি পুলিশের। ওই চারজন দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও সংগঠনের সদস্য নন। তবে, দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র দাবি করছে, লোকসভার ওয়ালে ঝাঁপের ঘটনায় এই চারজন নন, আছেন আরও দু জন। তাঁদের মধ্যে একজন গুরুগ্রামের বাসিন্দা ভিকি। যেখানে সন্ধ্যাতেই হানা দিয়েছিল পুলিশ।
বুধবারের ঘটনায় পাঁচজনের পরিচয় সামনে এসেছে। কিন্তু ষষ্ঠ ব্যক্তির পরিচয় এখনও অধরা। আর সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। এই চারজনকে জেরায় এক ব্যাপার স্পষ্ট দিল্লি পুলিশের কাছে। আর তা হল, হিংসা নয়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছিল সমাজ মাধ্যমে। তাই, পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর এবং মনোরঞ্জন সংসদে ঢুকেছিলেন। বাইরে দায়িত্ব ছিল নীলম এবং অমলের উপরে।
বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা দাবি করেছেন সাগরের বাবা শঙ্করলাল শর্মার অনুরোধে তিনি অতিথি পাস ইস্যু করেছিলেন। কারণ, মহীশূরুতে তাঁর কেন্দ্রেই থাকেন সাগরের বাবা। এদিকে দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে লখনউয়ে রিকসা চালান সাগরের বাবা। ফলে, তথ্যের একটা ফারাক থেকেই যাচ্ছে। যদিও মনোরঞ্জের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে যদি কোনও অন্যায় করেন, তাহলে ফাঁসি হওয়া উচিত।
এদিকে, নীলম এবং অমলের থেকে কোনও ব্যাগ বা পরিচয়পত্র কিছুই পাওয়া যায়নি বলেও দাবি তদন্তকারীদের। এই ব্যাপারে এই চারজনকে আরও জেরা করা হবে বলেও দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ।