গত কয়েকদিন ধরে উপত্যকায় চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছিল জঙ্গিরা। কখনও টার্গেট করা হচ্ছিল পুলিশকে, আবার কখনও হামলা হচ্ছিল জনবহুল এলাকায়। এরমধ্যে শুক্রবার কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধান। এই অবস্থায় শনিবার সকাল থেকে পাল্টা দিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ভিন্ন ভিন্ন তিনটি সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে খতম ৪ জঙ্গি। তাদের মধ্যে একদ পাক সন্ত্রাসবাদী। আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police)। সব মিলিয়ে ভূস্বর্গে জঙ্গিদমনে বড়সড় সাফল্য পেল সেনা ও পুলিশ। এদিন সকালে কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভূস্বর্গের একাধিক এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চলাকালীন গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলওয়ামা (Pulwama) এলাকায় গুলির লড়াইয়ে দুই জেহাদির মৃত্যুর হওয়ার খবর মিলেছে। গান্ধেরওয়াল ও হিন্দওয়ারা এলাকায় নিহত হয়েছে ২ জঙ্গি। আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার (Kashmir IGP Vijay Kumar) জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতভর কাশ্মীর একাধিক প্রান্তে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তাতেই মিলেছে সাফল্য। একাধিক এলাকায় এখনও গুলির লড়াই ও তল্লাশি চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলওয়ামায় খতম হয়েছে কামাল ভাই। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) জঙ্গি সংগঠনের কমান্ডার। ২০১৮ সাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় একাধিক নাশকতামূলক ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে। বিজয় কুমার জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধে থেকে পুলওয়ামা জেলার চেওয়াকালান গ্রাম ঘিরে ফেলেছে ভারতীয় সেনা ও পুলিশ। সেখানে আরও দুই জেহাদির আটকে থাকার খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন : যান্ত্রিক ভুলেই পাকিস্তানে পড়েছে মিসাইল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব ভারতের
এদিকে গান্ধেরওয়াল (Ganderwal) ও হিন্দওয়ারা (Handwara) এলাকায় খতম হওয়া দুই জঙ্গি লস্কর-ই-তইবা জেহাদি সংগঠনের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ধৃত সন্ত্রাসবাদীর (Terrorist) নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।