সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়ে এবার একযোগে সরকারি কমিটির তীব্র সমালোচনা করল বাম এবং কংগ্রেস। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর প্রশ্ন, বৃহস্পতিবার বৈঠকের আগে কী ভাবে ফাঁস হয়ে গেল এথিক্স কমিটির খসড়া রিপোর্ট। এই ব্যাপারে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ভুল করলে শাস্তি পেতে হবে। তবে খসড়া রিপোর্ট বাইরে আসার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি সুকান্ত।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই রিপোর্টকে অনৈতিক বলেই অভিযোগ করেছেন। তাঁর যুক্তি, একদিকে সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের কথা বলা হচ্ছে। একসঙ্গে দুটি বিষয় কী ভাবে সম্ভব ? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেন গলা চেপে ধরা হচ্ছে। রাহুল গান্ধীর সংসদও পদও খারিজ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : মহুয়ার বিরুদ্ধে ৫০০ পাতার রিপোর্ট, কড়া শাস্তির সুপারিশ কমিটির: দাবি NDTV-র
এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের ঘটনায় বৈঠকে বসছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভার শীত অধিবেশনে লোকসভার স্পিকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে বিনোদ সোনকার কমিটির। এরপর আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন স্পিকার ওম বিড়লা।
তার আগেই অবশ্য প্রকাশ্যে এসেছে এথিক্স কমিটির খসড়া রিপোর্ট। জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল NDTV দাবি করেছে, ৫০০ পাতার খসড়া রিপোর্টে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে নাকি বলা হয়েছে, মহুয়ার কাজ অত্যন্ত আপত্তিকর, অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। তাই তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা উচিত বলে মনে করে কমিটি।