সিগন্য়ালিংয়ের সমস্য়ার জন্য়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। রেল বোর্ডের দেওয়া এই তদন্ত রিপোর্টে শিলমোহর দিল করমণ্ডলের চালকের বক্তব্য। যদিও এখনও রীতিমতো আতঙ্কিত তিনি। ওড়িশার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চালক এবং সহকারী চালক।
দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক ছিলেন জে এন মোহান্তি এবং সহকারী চালক ছিলেন এইচ বেহারা । চালকের বাঁ পায়ে চিড় ধরছে। তবে সহকারী চালকের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁকে ICU তে রাখা হয়েছ।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে চালক রেল বোর্ডের কাছে বলেছেন, ট্রেন লুপ লাইনে ঢুকে পড়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালকের বয়ানে ছিল অন্য তথ্য। যশবন্তপুরের চালক সিআর রথের দাবি, পাশাপাশি দুটি ট্র্যাক দিয়েই ছুটছিল দুটি ট্রেন। তাঁর ট্রেনের পিছনের চারটে বগি প্রথমে লাইনচ্যুত হয়। সেখানেই ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও রবিবার সকালে মৃতের সংখ্যা ২৭৫ বলে জানিয়েছে ওড়িশা সরকার। শনিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব। প্রায় ২দিন পর সোমবার থেকে ফের ওই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।