মহালয়া এলেই আকাশে বাতাসে ঢাকের বাদ্যি। কৈলাস থেকে উমার মর্ত্যে ফেরার অপেক্ষা। বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরার বাসিন্দারাও মহাসমারোহে পালন করে দুর্গাপুজো। আগরতলা রামঠাকুর সংঘ ক্লাবের পুজোর মেজাজ একদমই আলাদ। এবার বাংলা আর ত্রিপুরা দুই রাজ্যের শিল্পীদের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।
এই বছর ৫৬ বছরে পা দিতে চলেছে রামঠাকুর সংঘের পুজো। স্থানীয় মৃৎশিল্পী উত্তম চক্রবর্তী ও পশ্চিমবঙ্গের বৃহৎ মৃৎশিল্পীদের হাত ধরে এবারের দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হচ্ছে মণ্ডপেই। আগরতলা রামঠাকুর সংঘের এবার থিম 'গুজরাটের সোমনাথ মন্দির'। উচ্চতা ৮৬ ফুট। পুজোর বাজেট ৪০ লক্ষ টাকা। আলোকসজ্জায় রয়েছেন স্থানীয় শিল্পী থাকলেও, এই মণ্ডপের একাংশ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন নবদ্বীপের জনপ্রিয় ডেকোরেটর।
ভারতের শিবতীর্থগুলির মধ্যে অন্যতম গুজরাতের 'সোমনাথ মন্দির'। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম হল সোমনাথ৷ চালুক্যরাজারা তৈরি করেছিলেন এই সোমনাথ মন্দির। সাগরতীরে গড়ে ওঠা অনবদ্য কারুকার্যশোভিত এই মন্দিরের আদলে তৈরি করা হচ্ছে রামঠাকুর সংঘ ক্লাবের মণ্ডপ। তবে, থিম পুজো করা হলেও মণ্ডপে দেবী দুর্গার মূর্তিতে ফুটে উঠেছে সাবেকিয়ানা।