দিল্লিতে কৃষিভবনে (Delhi Krishi bhavan) ধুন্ধুমার । পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি অভিষেক-সহ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের । কৃষি দফতর থেকে টেনে হিঁচড়ে অভিষেক-সহ (Abhishek Banerjee) ফিরহাদ হাকিম, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়দের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ । তৃণমূলের তরফে জানানো হল, বেশ কয়েক জন সাংসদকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের মোবাইল ফোনও। এদিন, মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে কৃষি দফতরে অবস্থানে বসেছিলেন অভিষেকরা । কিন্তু, রাত ৯টা বাজতেই সেখানে পুলিশ পৌঁছতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে ।
এদিন রাতে কৃষি ভবনে পুলিশ পৌঁছে সেখান থেকে তৃণমূল নেতাদের জোর করে তোলার চেষ্টা করে । এরপরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি । একে অপরের হাত আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেন অভিষেক, দোলা সেন, বীরবাহা হাঁসদারা । সেই অবস্থাতেই টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে তৃণমূল নেতাদের তুলে দেয় দিল্লি পুলিশ । রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে চ্যাংদোলা করে দফতরের বাইরে বের করতে দেখা যায় । তাঁদের মারধর করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল (TMC)।
এরপরই অভিষেক-সহ বাকি তৃণমূল নেতাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ । প্রিজন ভ্যানে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক, শান্তনু ও বীরবাহাদের । প্রিজন ভ্যান থেকে তাঁদের একটা স্লোগান ভেসে আসে...'অমিত শাহ হায় হায় ।'
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লির রাস্তায় মিছিল শুরু করেছে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতা-কর্মীরা। সেখানে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, 'নরেন্দ্র মোদী হায় হায়, অমিত শাহ হায় হায়।' পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত ।