সংসদে রং-বোমার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড ললিত ঝা। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি থেকেই ললিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে ললিতের নাম পায় দিল্লি পুলিশ। এরপর শুরু হয়েছিল তল্লাশি। তদন্তে ললিতের সঙ্গে বাংলার যোগও উঠে আসে। এদিন কলকাতার বড়বাজার এবং উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে ললিতের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়।
এদিনই এই ঘটনায় ধৃত পাঁচজনকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাঁদের আরও সাতদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তে দিল্লি পুলিশ দাবি করে, শীত অধিবেশনের আগে এই বছরের বাদল অধিবেশনে সংসদের নতুন ভবনে ঢোকার পরিকল্পনা করেছিল তারা। কিন্তু শেষ বেলায় পরিকল্পা ভেস্তে যায়। কারণ, প্রয়োজনীয় পাস তারা জোগার করতে পারেনি।
তদন্তে দাবি করা হয়েছে, বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ উপহার আনা হয়েছে বলে সংসদের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে দাবি করেছিল সাগর এবং মনোরঞ্জন। লোকসভায় থেকে ওই উপহার তাঁরা মোদীর হাতে তুলে দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বুধবারের জিরো আওয়ারে সংসদে হাজির ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় বরং বিরোধী বেঞ্চে বসেছিলেন রাহুল গান্ধী।