গত বিধানসভা ভোট হোক বা সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচন। দুটি নির্বাচন উত্তর সময় বঙ্গ সিপিএমকে একটা কটাক্ষই বারবার শুনতে হয়েছে। আর তা হল শূন্য কটাক্ষ। শাসক থেকে সমাজ মাধ্যম আলিমুদ্দিনের নেতাদের বারবার এই কটাক্ষতে বিদ্ধ হতে হয়েছে। কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর জম্মু-কাশ্মীরে প্রথম নির্বাচনে বামেদের সেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হল। সৌজন্যে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি। কুলগ্রাম দক্ষিণ আসন থেকে উপত্যকার বিধানসভার ভোটে জিতলেন তিনি। এই নিয়ে পঞ্চমবার।
১৯৯৬ সালে রাজ্যে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন তারিগামি। তারপর থেকেই অপরাজিত তিনি। কোনও মার্জিন বেড়েছে, আবার কখনও কমেছে, কিন্তু কুলগ্রাম দক্ষিণ কেন্দ্রে তারিগামিকে কেউ হারাতে পারেননি। এবার ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটে লড়াই করেছে সিপিএম। সাফল্যও পেলেন তিনি।
কোন পথে যাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর ? রাজনৈতিক মহলের দাবি, কংগ্রেসের হাত ধরে শ্রীনগরের তখতে ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফিরছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান নেতা ফারুক আবদুল্লা এই ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে, রাজনৈতিক মহল অপেক্ষায় রয়েছে উপত্যকায় কংগ্রেস ওমরের নামে সায় দেবে কীনা ?
কারণ, ধারা ৩৭০ উপত্যকা থেকে বিলোপের পর এই নির্বাচন কংগ্রেস এবং বিজেপি, উভয়ের কাছে ছিল অ্যাসিড টেস্ট। ৯০ আসনের রাজ্য বিধানসভায় বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, ত্রিশঙ্কু হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর। কিংমেকার হতে পারেন মেহবুবা মুফতি।
কিন্তু ইভিএম খুলতে রাজ্যের ভোট মানচিত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছে পিডিপি। বরং পুরনো সঙ্গী ফারুক-ওমরের হাত ধরে বিশেষ করে জম্মুতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। এই রাজ্যে কংগ্রেসের শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন গুলাম নবি আজাদ। যিনি এখন কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন।
তাই কংগ্রেসের একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্ব পুরোপুরি ওমরের হাতে নাও ছাড়া হতে পারে। তাই এখন সরকার গঠন এবং মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে।