২০২০-২০২১ সাল । ভারত-সহ গোটা বিশ্বে তখন করোনার প্রকোপ । প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে । হাসপাতালগুলিতে তখন শুধু মৃতদেহের সারি । কত বাবা-মায়ের কোল খালি হয়েছে, কত শিশু অনাথ হয়েছে...তার হিসেব নেই । অতিমারীর এই ঝড় এক মুহূর্তে তছনছ করে দিয়েছে কত মানুষের জীবন । আবারও কি সেই আতঙ্ক ফিরতে চলেছে ? যদিও, বর্তমানে করোনার দাপট নেই । তবে, ভাইরাস যে একেবারে নির্মূল হয়ে গিয়েছে তাও নয় । বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হচ্ছে । সম্প্রতি, করোনার আরও এক নয়া প্রজাতির হদিশ মিলেছে । যা নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে । আবারও ৪ বছরের সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলি ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
নতুন ভ্যারিয়ান্ট
করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্টের নাম এক্সইসি । এটা মূলত ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের এক সাবভ্যারিয়্যান্ট । কেএস.১.১ ও কেপি.৩.৩ এই দুই ভ্যারিয়্যান্টের মিশ্রণ । সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক । দ্রুত ছড়াচ্ছে । নতুন ভ্যারিয়ান্টের ক্ষমতার কাছে কোভিড টিকাকেও নাকি হারিয়ে দিতে পারে করোনার এই নতুন প্রজাতি ।
কোথায় কোথায় দেখা দিয়েছে ?
জার্মানিতে প্রথম করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়ান্টের হদিশ পাওয়া যায় । গত বছর জুন থেকে এক্সইসি-র প্রকোপ শুরু হয়েছে । তিন মাসের মধ্যে ১৩টি দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে এই নয়া প্রজাতি । তবে, ভারতে এখনও এক্সইসি-র হদিশ মেলেনি । যেভাবে দ্রুত ছড়াচ্ছে, তাতে ভারতেও খুব তাড়াতাড়ি প্রকোপ দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা ।
নয়া ভ্যারিয়ান্টের মোকাবিলা
কোভিড টিকাকে হারিয়ে দিচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি । সেক্ষেত্রে, বিজ্ঞানীরা এই নয়া ভ্যারিয়ান্টের মোকাবিলায় প্রত্যেককে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে । ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই বুস্টার ডোজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
সামনেই উৎসবের মরসুম । তার মধ্যে আবার করোনা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে তাই সাবধনতা অবলম্বন করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা । ভিড় গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । এছাড়া, করোনার কোনও উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করাতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।