বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনা। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করল BSF। সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। চ্যাংড়াবান্ধা, পেট্রোপোল, ফুলবাড়ির মতো সীমান্তে বন্ধ করা হয়েছে দুই দেশের আমদানি ও রফতানি। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজরদারি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ চৌধুরী। বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাতিল থাকবে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস।
ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়। অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের মতো রাজ্যগুলিতেও আছে বাংলাদেশ সীমান্ত। দেশে মোট ১০৯৬টি বর্ডার আউট পোস্ট আছে। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সুযোগে কোনও জঙ্গি সংগঠন বা পাচারকারীরা সুযোগ নিতে পারে। তার দিকেও নজর রাখছেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।পাশাপাশি সীমান্ত পেরিয়ে, কোনও বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে ঢুকে পড়ছে কিনা, তারও নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ।