আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভার পাশাপাশি অন্য তিন রাজ্যের উপনির্বাচনেও হেরে গেল বিজেপি। বিহারে এনডিএ জোটের দখলে থাকা বিধানসভা আসনে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী। মহারাষ্ট্রের কোলাপুর (উত্তর) এবং ছত্তিসগডের খৈরাগড় বিধানসভা আসনেও কংগ্রেসের কাছে হেরেছে বিজেপি। সব মিলিয়ে ২০২২ সালের প্রথম উপনির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির ঝুলি শূন্য।
এদিকে, রাজ্যেও ১৮ থেকে বিজেপি হয়ে গেল ১৭। আসানসোলে হারের ফলে সর্বভারতীয় পর্যায়েও আসন কমে গেল বিজেপি-র। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে বিজেপি-র আসন ছিল ৩০৩। আসানসোল হারানোয় কমে হল ৩০০। আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিন্হা বিজেপি-র অগ্নিমিত্রা পালকে হারানোয় রাজ্যে থেকে বিজেপির লোকসভার প্রতিনিধির সংখ্যাও এক জন কমে গেল। ২০১৯ সালে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮ আসনে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। সেই তালিকায় ছিলেন আসানসোল থেকে জেতা বাবুল সুপ্রিয়ও। উপনির্বাচনে হারার ফলে তা কমে হল ১৭। অন্য দিকে, তৃণমূলের লোকসভা সাংসদের সংখ্যা ২২ থেকে বেড়ে হল ২৩।
আসানসোলকে ধরলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে সর্বভারতীয় পর্যায়ে বিজেপির কমল ৩টি। প্রবল মোদী হাওয়ায় ভর করে ২০১৯-এ ৩০৩টি আসনে একক ভাবে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০২১-এর নভেম্বরে উপনির্বাচনের পর তা নেমে এসেছিল ৩০১-এ। সে সময় বিজেপি-র থেকে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা ছিনিয়ে নিয়েছিল কংগ্রেস। গুজরাত-ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি লোকসভা কেন্দ্রে প্রয়াত বিজেপি সাংসদের স্ত্রী শিবসেনার টিকিটে প্রার্থী হয়ে মোদীর দলকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। এ বার আসানসোলে তৃতীয় ধাক্কা এল তৃণমূলের থেকে।
এর আগে বিধানসভার লড়াইয়ে জেতা শান্তিপুর এবং দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্র উপনির্বাচনে খুইয়েছে বিজেপি। এ বার ধাক্কা এল লোকসভায়। তবে আসানসোলের ফলাফল প্রত্যাশিতই ছিল। ঘটনাচক্রে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে সাফল্য পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবমূর্তি এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বকেই ‘কারণ’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা। একই ব্যাখ্যা উঠে এসেছিল দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের তরফেও। দাদরা ও নগর হবেলী এবং মণ্ডীর পর এ বার মোদীর ভাবমূর্তি নিয়ে আসানসোলও প্রশ্ন তুলে দিল বলে দাবি রাজনীতিকদের।