লোকসভার কৌশল ঠিক করতে আগামী ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে বসতে পারে ইন্ডিয়া জোট। তার আগে দাক্ষিণাত্যে আরও একবার নিজেদের ভিত শক্ত করল কংগ্রেস। একবছরের মধ্যে কর্নাটকের পর এবার তেলঙ্গনাতেও হাতের মুঠোয় সরকার।
রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে রাহুল গান্ধীর থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিলেও, নবাবের হায়দরাবাদ কিন্তু কংগ্রেসের মান রাখল। অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি।
২০০৯ সালে নতুন রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল তেলঙ্গনা। কেন্দ্রে তখন ইউপিএ-টু সরকার। অন্ধ্র থেকে এই রাজ্যকে ভাগের সিলমোহর দিলেও হায়দরাবাদের মসনদে বসার স্বাদ পায়নি কংগ্রেস।
প্রায় ১৪ বছর পর সেই স্বাদ পেতে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন এই দল। হাওয়া বদল বিআরএসের ভ্রান্ত নীতিকেই এবার ভোট প্রচারে হাতিয়ার করেছিল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তারা রুখতে পেরেছে মিমের ভোটর কাটার পদ্ধতিকেও।
তাই, গ্রামীণ তেলঙ্গনার পাশাপাশি কংগ্রেসকে দু হাত ভরে ভোট দিয়েছেন হায়দরাবাদের মানুষ। আস্থা দেখিয়েছে প্রদেশ নেতৃত্বের উপরে। এবার চ্যালেঞ্জ আগামী পাঁচ বছর কাজ করে দেখানোর। কারণ ম্যাজিক ফিগার থেকে মাত্র কয়েকটি আসন বেশি রয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে।