গোয়ায় বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ৪ বছরের সন্তানকে খুন, তারপর দেহ ব্যাগে ভরে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ । একজন মায়ের হাতে যে সন্তানের এমন পরিণতি হতে পারে, তা ভাবতে পারেনি কেউ । মঙ্গলবার এই ঘটনায় শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ । সূচনা একজন এআই সংস্থার ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলা সূচনা শেঠ-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । চলছে জেরা । এরই মধ্যে সূচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেল পুলিশ । এনডিটিভি-র খবর অনুযায়ী, এই সূচনাই গত বছর অগাস্ট মাসে স্বামীর পিআর বেঙ্কট রমনের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের করছিলেন । যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সূচনার স্বামী ।
বর্তমানে সূচনা ও তাঁর স্বামীর ডিভোর্সের মামলা চলছে আদালতে । বিবাহবিচ্ছেদের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন তাঁরা । আদালতে মামলা চলাকালীন সূচনার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন তাঁর স্বামী । আগামী ২৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত ।
জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে বেঙ্কট রমনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সূচনার । এরপর ২০১৯ সালে তাঁদের পুত্রসন্তান হয় । ২০২০ সাল থেকেই তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে শুরু করে । তারপর তা বিচ্ছেদ অবধি গড়ায়। এরপর সন্তানকে মায়ের হেফাজতেই রাখার নির্দেশ দেয় আদালত, আর বাবার সঙ্গে দেখা করার দিন রবিবার। সূচনার দাবি, বাবার সঙ্গে ছেলেকে দেখা করতে না দেওয়ার কথা ভেবেই ছেলেকে খুন করেছেন তিনি। সেই পরিকল্পনামাফিক সন্তানকে নিয়ে গোয়ায় যান সূচনা ।
গোয়ার হোটেলে ছেলেকে বালিশ বা তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন সূচনা । ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে । পুলিশ জানিয়েছে, বাঁ হাতের কবজি কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সূচনা। কিন্তু পরক্ষণেই মত বদলান তিনি। ছেলের দেহ ব্যাগে ঢুকিয়ে একটি ক্যাব ধরে গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য রওনা দেন। হোটেল থেকে বেরনোর সময় তাঁর সঙ্গে ছেলে ছিল না, শুধু হাতে ছিল বড় ব্যাগ । এরপর সূচনার হোটেলের রুম থেকে রক্তমাখা তোয়ালে উদ্ধার হতেই পুলিশে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ । ট্যাক্সির নম্বর উদ্ধার করে ওই গাড়িকে চিত্রদূর্গে আটক করা হয়। তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে সুইকেট বন্দি ওই শিশুর দেহ।