৬০ আসনের ত্রিপুরায় বৃহস্পতিবার ভোট। সকাল সাতটা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল চারটে পর্যন্ত। শাসক বিজেপির সামনে চ্যালেঞ্জ বাম-কংগ্রেসের জোট। তবে বাংলার রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে অবশ্যই তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে। এইবারই প্রথম ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে লড়াই করছে বাংলার শাসক দল। ৬০ আসনের মধ্যে প্রার্থী দিয়েছে ২৮ আসনে। ইতিমধ্যেই আগরতলায় প্রচার করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীর মন জিততে তাঁর হাতিয়ার ছিল বাংলার উন্নয়ন মডেল।
এদিকে, রাজ্যের বিধানসভা ভোট ঘিরে ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যেই অবশ্য শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে আগাম সন্ত্রাসের আশঙ্কা করেছে বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট। প্রায় একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জনজাতি দল তিপ্রা মথাও। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার ত্রিপুরা ভোটের ফ্যাক্টর হতে পারে সংখ্যালঘু এবং জনজাতির ভোট। সেই ভোট শাসকের ইভিএমে যাতে না পরে, সেটাই কৌশল বিরোধী শিবিরের।
এর পাশাপাশি, রাজ্যের শেষ চারটি কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের ফল যদি এবারও একই থাকে, তাহলে চাপে পড়তে পারে শাসক বিজেপি। সেই কাঁটা দূর করতেই গত কয়েকদিনে রাজ্যে সভার পর সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যে সভায় বাম-কংগ্রেসকে বিঁধলেও বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা তৃণমূল সম্পর্কে একটি বাক্যও খরচ করেননি। ত্রিপুরায় গণনা হবে ২ মার্চ।