লোকসভার মধ্যে রং-বোমার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের জালে আরও এক। ধৃতের নাম মহেশ কুমাওয়াত। এই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংসদের ঘটনার মূল চক্রী ললিত ঝাকে দিল্লিতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। যদিও সংবাদ সংস্থার খবর, গত বৃহস্পতিবার এই মহেশ নিয়েই পার্লামেন্ট স্ট্রিটের থানায় গিয়েছিলেন ললিত। সেই সময় মহেশকে গ্রেফতার না করা হলেও, শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার লোকসভার অন্দরে রং-বোমা নিয়ে দুই যুবকের ঢুকে পড়ার ঘটনা এখন জাতীয় রাজনীতির আলোচ্য বিষয়। তারমধ্যে এই ঘটনার তদন্তে নেমে রোজই নতুন তথ্য উদ্ধার করছে দিল্লি পুলিশ। এবার তাদের দাবি, সাতটি রং-বোমা নিয়ে লোকসভার অন্দরে ঢোকার পরিকল্পনা ছিল প্রতিবাদীদের। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ললিত ঝাকে জেরা করে এই দাবি তদন্তকারীদের। জেরায় ললিত তাঁদের জানিয়েছেন, ইন্টারনেট দেখে তাঁরা এই বোমা তৈরি করেছিলেন।
শুক্রবারই দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, সংসদের মধ্যে ঢুকতে গেলে জুতো কোনও নজরদারি হয়না। তা এই ঘটনার আগে রেকি করতে এসেই বুঝে গিয়েছিলেন মহীশূরুর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া মনোরঞ্জন ডি। গত বুধবার সেই সুবিধা তাঁরা নিয়েছিলেন। এরপর জেরায় ললিতের দাবি, সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবং সেই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কী ভাবে ভিতরে যাওয়া যায়, এই সবই তাঁরা রপ্ত করেছিলেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
এই ঘটনায় গ্রেফতার ললিত ঝাকে ইতিমধ্যেই সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীদের দাবি, ছয় জনকে জেরা করে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে কোনও বিদেশি হাত রয়েছে কীনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।