চিন ভারতের শত্রু নয়। চিনের থেকে ভারতের কী ক্ষতি হতে পারে, সেটাই বোঝা যায় না। এমনই বিষ্ফোরক মন্তব্য কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদার। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস প্রধান এর আগেও একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এবার স্যাম পিত্রোদার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করল বিজেপি।
দিনকয়েক আগে আমেরিকা সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পিত্রোদাকে প্রশ্ন করা হয়, মোদী-ট্রাম্প কি চিনা আগ্রাসন রুখতে পারবেন! পিত্রোদার দাবি, আমেরিকার স্বভাব কোনও একটি দেশকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা। সেই নিরিখেই চিনের সঙ্গে ভারতের শত্রুতা উঠে আসে। কংগ্রেস নেতা বলেন, "এখন যুদ্ধ নয়, প্রত্যেক দেশের উচিত একজোট হয়ে এগিয়ে চলা। প্রথম থেকেই চিনের প্রতি যুদ্ধং দেহি মানসিকতা পুষে রেখেছি। সরকার দেশের অন্দরে সমর্থন জোগাড় করে। চিন আমাদের শত্রু, এটা ভাবা বন্ধ হওয়া উচিত।"
এই নিয়েই কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র তুহিন সিনহা জানান, কংগ্রেস জমানায় ভারতের ৪০ হাজার বর্গমিটার জমি দখল করে নিয়েছে চিন। রাহুল গান্ধী চিনের প্রতি এতটাই মুগ্ধ, যে চিনা প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের হয়েও সওয়াল করেছেন।
এদিকে USAID নিয়ে কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের হেড অমিত মালবিয়া। আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের ফান্ডের টাকা ভোটের আগে এই দেশে ব্যবহার করার অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অমিত মালভিয়া রবিবার একটি টুইট করে জানান, লোকসভা নির্বাচনের আগে ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার ফান্ড এসেছিল। তার মধ্যে ভোট টানতে ২১ মিলিয়ন ডলার ব্যবহার করেছে কংগ্রেস। আরও একটি টুইটে জর্জ সোরেসের নামও উল্লেখ করেছেন অমিত মালভিয়া। এই চুক্তির জন্য কংগ্রেসের হয়ে তিনিই ডিল করতেন বলে অভিযোগ মালভিয়ার। ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফান্ড নিয়ে একটি MoU চুক্তি হয় জর্জ সোরেসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের। পরবর্তী কালেও USAID-এর মাধ্যমে এই টাকা কংগ্রেসের ঘরে ঢুকত বলে অভিযোগ বিজেপির। আন্তর্জাতিক ফান্ড এনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থ লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
সম্প্রতি এলন মাস্কের একটি মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সির দায়িত্বে তিনি। তিনি সব আন্তর্জাতিক ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপরই এই ঘটনা ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। যদিও প্রাক্তন চিফ ইলেকশন কমিশনার সঞ্জয় সান্যাল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেসও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।