পরিবারের অমতে ভিনধর্মে (Honour killing) বিয়ে। আর তার ফলেই 'অনার কিলিং'-এর 'শিকার' হলেন হায়দরাবাদের (Honour killing in Hyderabad) এক ব্যক্তি। ব্যস্ত রাস্তায় ওই ব্যক্তির খুনের 'ভাইরাল' হয়ে যাওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপের পর কোপ মারা হচ্ছে।
ওই যুবকের স্ত্রী সুলতানা জানান, আক্রমণকারীদের মধ্যে ছিলেন তাঁর নিজের ভাই সহ অন্যান্য আত্মীয়রা। গত বুধবার হায়দরাবাদে দলিত যুবক নাগারাজুকে কুপিয়ে খুন (Honour killing in Hyderabad) করার অভিযোগ উঠেছে সুলতানার বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: তিনবিঘা দিয়ে শুরু, শেষ সৌরভের বাড়ি নৈশভোজে, শুক্রবার ঠাসা অমিত শাহের কর্মসূচি
গত বুধবার রাত ন’টা নাগাদ সরুরনগর তহশিলদারের কার্যালয়ের সামনে নাগারাজুকে প্রথমে ছুরি (Honour killing in Hyderabad) মারা হয়। তার পর চলে পরের পর কোপ। মৃত্যু হয়েছে বোঝার পর চম্পট দেয় আততায়ী। গোটা ঘটনা দাঁড়িয়ে দেখেছেন অনেকে। উৎসাহীদের ফোনে ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিংও ধরা আছে । কিন্তু এক জনও নাগারাজুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বিল্লিপুরম নাগারাজু ও তাঁর স্ত্রী আসরিন সুলতানা বাইকে করে যাচ্ছিলেন ৷ ৯টা নাগাদ আসরিনের দাদা সৈয়দ মোবিন আহমেদ ও মাসুদ আহমেদ তাঁদের বাইক থামিয়ে নাগারাজুকে ধাক্কা মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয় ৷ এরপর দু'জনে নাগারাজুর মাথায় লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে (Honour killing in Hyderabad) থাকে ৷ এতেই শেষ হয়নি ৷ মোবিন একটি ছুরি বের করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে বোন আসরিনের স্বামীকে ৷ নাগারাজু মারা গিয়েছে নিশ্চিত করে অভিযুক্ত মোবিন ও মাসুদ পালিয়ে যায় ৷ বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ সারুরনগর পুলিশ নাগারাজুর স্ত্রীর দাদা মোবিন আহমেদ এবং মহম্মদ মাসুদ আহমেদকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ এদিনই তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ করা হয় ৷ দোষীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি (Honour killing in Hyderabad) পায় এবং তদন্তে গতি আনতে দুই অভিযুক্তকে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে পেশ করবে পুলিশ ৷ এলবি নগরের ডিসিপি আশ্বস্ত করে বললেন, "মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য় ও চাকরি দেওয়া হবে ৷"
মাত্র ২ মাস আগেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা দুজন। পরিবারের অমতে। তারপর থেকেই সমস্যা চলছিল। যা সমাপ্ত হল এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড দিয়ে।