সাহিলের হাবেভাবে সন্দেহ হয়েছিল এক বন্ধুর। গোলমাল আন্দাজ করেই তিনি পুলিশকে খবর দেন। আর সেই সূত্র ধরে এগোতেই নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডের হদিশ পায় দিল্লি পুলিশ। দিল্লি হত্যাকাণ্ডের জট খুলতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের আরও দাবি, সাহিল তাঁর বিয়ের পর লিভ-ইন পার্টনারের দেহ লোপাটের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সাহিলের আচরণে গোলমাল মনে হতেই পুলিশে খবর দেন নিক্কি-সাহিলের ওই বন্ধু। এরপরই তদন্তে নেমে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ধাবার ফ্রিজ থেকে নিক্কির দেহ উদ্ধার করে দিল্লি পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশকে গোটা ঘটনার বিবরণও দেয় সাহিল গেহলট।
পুলিশি জেরায় সাহিল জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে প্রেমিকা নিক্কি যাদবকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। সাহিলের কথায়, গাড়িতে থাকা মোবাইল ফোনের ডেটা কেবলের তার নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে খুন করা হয় নিক্কিকে। দিল্লি পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়েন ওই অভিযুক্ত ধাবা মালিক।
আরও পড়ুন- IND-AUS 2nd Test 2023: টসে হারল ভারত, দিল্লি টেস্টে দলে শ্রেয়স, সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া
সাহিলের দাবি, বাড়ির পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ের জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। অথচ লিভ-ইন পার্টনার নিক্কিকে তিনি ছাড়তে পারছিলেন না। এই দোটানায় পড়ে তিনি কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন। এই বিষয় নিয়ে কথা হতে হতেই কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি-র কাছে নিক্কির সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় সাহিলের। বিয়ে নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজিত সাহিল নিক্কির কথায় আর শান্ত থাকতে পারেননি। ঝগড়া চলাকালীন একসময় রাগের মাথায় নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেন তিনি, পুলিশ জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন সাহিল।