রাত সাতটা পঞ্চাশ থেকে রাত সাড়ে আটটার কিছু পর। চূড়ান্ত অপারেশন শেষ হতেই স্বস্তি নামল উত্তরকাশীতে। স্বস্তি গোটা দেশে। সুড়ঙ্গ ভেদ করে একে একে বেরিয়ে এলেন বাংলার তিন-সহ ৪১ জন শ্রমিক। ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো। তাঁকে দেখে উৎকণ্ঠা কাটাল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুরষ্ক সিং ধামী-সহ সেখানে হাজির থাকা বাকিদের। জানা গিয়েছে, ওই সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝাড়খণ্ডের।
সেই দীপাবলির দিন থেকে টানা ১৭ দিন। অন্য রাজ্যের শ্রমিকদের সঙ্গে বন্ধ সুড়ঙ্গে জীবনের যাবতীয় ওঠা-পড়া কাটিয়েছেন এই বাংলার মানিক তালুকদার এবং সৌভিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিকও। তাই তাঁদের মুক্তিতে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখলেন, উত্তরকাশীতে শ্রমিক ভাইদের উদ্ধার অভিযানের সাফল্য সবাইকে স্বস্তি দিয়েছে। এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই বন্ধুরা এখন তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এই প্রতিকূল সময়ে এই সমস্ত পরিবার যে ধৈর্য ও সাহস দেখিয়েছে সেই প্রশংসা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
এত দিন ধরে তাঁদের বার করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না। খোঁড়ার সময়ে গত শুক্রবার বাধা আসে। ধ্বংসস্তূপের ভিতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায় আমেরিকান খননযন্ত্র। উদ্ধারকাজ থমকে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।