বুস্টার টিকার চাহিদা নেই। ইতিমধ্যেই উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবুও গুদামে পড়ে রয়েছে কোটি কোটি কোভিশিল্ড টিকা। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে কিছু টিকা ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। টিকার চাহিদা না থাকায় প্রায় ১০ কোটি কোভিশিল্ড টিকা ফেলে দিতে বাধ্য হল প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউড। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন সংস্থার সিইও আদর পুণাওয়ালা।
দেশের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ করোনা টিকার দু'টি ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু বুস্টার ডোজের সেরকম চাহিদা নেই। ফলে,গত বছরের ডিসেম্বরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় করোনার টিকা কোভিশিল্ডের উৎপাদন। কিন্তু তা সত্বেও কোটি কোটি টিকা বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে গোডাউনে। কারণ ওই টিকাগুলির মধ্যে বেশ কিছু টিকার মেয়াদ ফুরিয়েছে। বাকি টিকার কোনও চাহিদা নেই বাজারে।
এক অনুষ্ঠানে পুণাওয়ালা বলেন, '২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে, উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থা। বুস্টার টিকার কোনও চাহিদা নেই। মানুষ করোনা নিয়ে বিরক্ত। আমিও বিরক্ত। ১০ কোটি টিকা ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।'