খবর এবং তথ্যের জনপ্রিয় একটি ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম- Editorji । ২০১৮ সালে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক বিক্রম চন্দ্রা'র নেতৃত্বে এই ডিজিটাল  প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের দর্শক এবং শ্রোতাদের নজরে এসেছে এই প্ল্যাটফর্ম। অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS অ্যাপ্লিকেশন আছে, এমন সমস্ত মোবাইল ফোনেই Editorji -র সব খবর দেখা, পড়া এবং শোনা যায়।

ABOUT US

about us editorji

Editorji বাংলা:  Get all latest breaking news videos in Bengali on Editorji. Watch latest Bengali News (বাংলা খবর) videos on politics, entertainment, sports, lifestyle, Business, Kolkata city news and more. 

Editorji বাংলা: Bengali Video News, Latest Bangla News, Breaking News in Bengali | Editorji

+91 11 4035 6666 / info@editorji.com
3rd floor, Plot B, Khasara no 360, Sultanpur, New Delhi, Delhi 110030
<a title="mail to us" href="mailto:info@editorji.com">Send Feedback</a>

REACH US

Contact for any questions, suggestions, comments, feedback or advertisement on Editorji.com, we are always looking forward to hearing from you.

Contact Us for Feedback, Suggestions and Advertising 

Today Gold-Silver Price

Omicron BF7 in India

Covid 19 New variant

Bank Holiday in January 2023

West Bengal Government Jobs

West Bengal Weather update 

Editorji-র যাবতীয় কনটেন্ট একইসঙ্গে

 জেন জি, অর্থাৎ যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে, তাদের জীবনে বন্ধুর সংখ্যা বেশ কম। বন্ধুত্ব যদি বা হয়, তাকে ধরে রাখতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এই তথ্য সামনে এনেছে।

microsoft techie drives auto on weekends  - Microsoft-Loneliness: একলা লাগে! তাই অটো চালান মাইক্রোসফট ইঞ্জিনিয়র! সারা দেশজুড়েই বাড়ছে একাকিত্ব

Microsoft-Loneliness: একলা লাগে! তাই অটো চালান মাইক্রোসফট ইঞ্জিনিয়র! সারা দেশজুড়েই বাড়ছে একাকিত্ব

&nbsp;জেন জি, অর্থাৎ যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে, তাদের জীবনে বন্ধুর সংখ্যা বেশ কম। বন্ধুত্ব যদি বা হয়, তাকে ধরে রাখতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এই তথ্য সামনে এনেছে।

পেশায় মাইক্রোসফটের ইঞ্জিনিয়র। পোস্টিং বেঙ্গালুরুতে। এমনই এক নাম না জানা তরুণ খবরের শিরোনামে। কেন? তিনি জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে তাঁর বন্ধু নেই। ছুটির দিন বা শনি রবিবার ঘাড়ের ওপর যেন চেপে বসে একাকিত্ব। তার সঙ্গে যুঝতেই অটো চালান তরুণ।&nbsp;
হ্যাঁ, মাইক্রোসফটে কাজ করে মাসের শেষে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ফুলে ফেঁপে উঠলেও একাকিত্ব তাঁর সঙ্গ ছাড়েনা। তাই মানুষের সঙ্গ পেতে অটো চালান তরুণ। ঘটনার সত্যতা কতোটা জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি এক এক্স হ্যান্ডেল থেকে অটো চালকের ছবি শেয়ার করা হয়েছে, যার গায়ে চাপানো মাইক্রোসফটের হুডি। ঘটনাটি সামনে আসার পরই নতুন করে একাকিত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।&nbsp;
করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা (WHO) বলছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় মহামারীর নাম 'একাকীত্ব'। গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে এই অসুখ। দমবন্ধ হয়ে আসছে একটা গোটা প্রজন্মের৷
সিলিকন ভ্যালির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালতে বিশ্বের তাবড় তাবড় প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক, পেশাদারদের বসবাস, আনাগোনা। তাঁদের বেতন, উপার্জন আকাশছোঁয়া। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের বিন্দুমাত্র অভাব নেই৷ কিন্তু গোটা বিশ্বকে ভার্চুয়াল বাস্তবতায় অভ্যস্ত করে তোলা, ভীষণ 'সফল' ওই মানুষরাও ভুগছেন নিঃসীম একাকীত্বে।&nbsp;
&nbsp;জেন জি, অর্থাৎ যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে, তাদের জীবনে বন্ধুর সংখ্যা বেশ কম। বন্ধুত্ব যদি বা হয়, তাকে ধরে রাখতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এই তথ্য সামনে এনেছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন গবেষকরা। দেখা গিয়েছে, কোভিড ১৯ অতিমারী বন্ধুত্ব এবং সামাজিক যোগাযোগের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
করোনা পর্বে ওয়র্ক ফ্রম হোমের চল বেড়েছে, একা একা কাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব।&nbsp;
চাকরি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধুত্ব শেষ হচ্ছে ৮২ শতাংশের৷ যাঁরা একসঙ্গে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের হার বেশি- ৩৯ শতাংশ। যাঁরা বিচ্ছিন্ন ভাবে আলাদা আলাদা থেকে একই কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন, তাঁদের বন্ধুত্বের হার বেশ কম - ২২ শতাংশ।

কয়েক মাস আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একাকীত্বকে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অসুখ বলে চিহ্নিত করেছিল। আর কেবল মানসিক সমস্যাই তো নয়, একাকীত্ব থেকে কার্জিওভাস্কুলার রোগ, ডিমেনশিয়া, স্ট্রোক, অবসাদ, উৎকণ্ঠা এবং অকালমৃত্যু ঘটতে পারে বলে জানিয়েছিল হু। 

Loneliness is the new epidemic according to World Health Organisation - Loneliness: 

Loneliness: দিনে ১৫ টা সিগারেট টানলে যতটা ক্ষতি, একাকিত্বেও ততটাই ! বিশ্বজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ 

কয়েক মাস আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একাকীত্বকে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অসুখ বলে চিহ্নিত করেছিল। আর কেবল মানসিক সমস্যাই তো নয়, একাকীত্ব থেকে কার্জিওভাস্কুলার রোগ, ডিমেনশিয়া, স্ট্রোক, অবসাদ, উৎকণ্ঠা এবং অকালমৃত্যু ঘটতে পারে বলে জানিয়েছিল হু।

সেই কতদিন আগে রূপম ইসলাম লিখেছিলেন, 'এই একলা ঘর আমার দেশ/ আমার একলা থাকার অভ্যেস..'। তারও আগে কবীর সুমন দেখেছিলেন, 'কত জানলায় আসে একার সকাল..'। আর এখন, এই করোনা অতিমারীর পরবর্তীকালের পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা (WHO) বলছেন, এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহামারীর নাম 'একাকীত্ব'। গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে এই অসুখ। দমবন্ধ হয়ে আসছে একটা গোটা প্রজন্মের৷
সিলিকন ভ্যালির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালতে বিশ্বের তাবড় তাবড় প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক, পেশাদারদের বসবাস, আনাগোনা। তাঁদের বেতন, উপার্জন আকাশছোঁয়া। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের বিন্দুমাত্র অভাব নেই৷ কিন্তু গোটা বিশ্বকে ভার্চুয়াল বাস্তবতায় অভ্যস্ত করে তোলা, ভীষণ 'সফল' ওই মানুষরাও ভুগছেন নিঃসীম একাকীত্বে। অবস্থা এতটাই গুরুতর যে, সিলিকন ভ্যালির স্থানীয় প্রশাসন একাকীত্বের সমস্যা নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে। একাকীত্বকে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করা হয়েছে সেই প্রস্তাবে। শুধু তাই নয়, একাকীত্বের সমস্যা সামাল দিতে পৃথক মন্ত্রক তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
আমেরিকার কথা তো শুনলেন৷ বিলেতের অবস্থাও কিন্তু মোটেই ভালো নয়। ইংল্যান্ডের জাতীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে ৬০ শতাংশই কোনও না কোনও ভাবে একাকিত্বের শিকার। এর কারণ কী, সেই উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের মতে ভার্চুয়াল বাস্তবতায় জড়িয়ে যাওয়াই হয়তো কাল হল আমাদের৷ মুখোমুখি দেখাসাক্ষাৎ, খেলাধূলার পাট তো প্রায় চুকেই গিয়েছে। একা না হয়ে আর উপায় কী!
গোটা পৃথিবীতেই মারাত্মক চেহারা নিয়েছে একাকীত্বের সমস্যা। কোথাও একটু বেশি৷ কোথাও খানিকটা কম৷ বিশপষত করোনা অতিমারীর পরে পরিস্থিতি রীতিমতো চিন্তার। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিকতম গবেষণা অনুযায়ী, কোভিড চলাকালীন ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের মধ্যে কার্যত মহামারির রূপ নিয়েছিল একাকিত্ব। এখনও সেই রেশ রয়ে গিয়েছে।
কয়েক মাস আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একাকীত্বকে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অসুখ বলে চিহ্নিত করেছিল। আর কেবল মানসিক সমস্যাই তো নয়, একাকীত্ব থেকে কার্জিওভাস্কুলার রোগ, ডিমেনশিয়া, স্ট্রোক, অবসাদ, উৎকণ্ঠা এবং অকালমৃত্যু ঘটতে পারে বলে জানিয়েছিল হু। একাকীত্বের বিপদ যে ঠিক কতটা, তা বোঝাতে &lsquo;Our Epidemic of Loneliness And Isolation&rsquo; শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, দিনে ১৫টি সিগারেটে খাওয়া যতটা ক্ষতিকর, একাকীত্বও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক ততটাই ক্ষতিকর।
ভারতের অবস্থাও কিন্তু রীতিমতো উদ্বেকজনক। সম্প্রতি &lsquo;যুব&rsquo; নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একাকীত্ব নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল৷ তাতে দেখা গিয়েছে যে, ভারতে তরুণদের মধ্যে একাকিত্বে ভোগার প্রবণতা তরুণীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তরুণ, তরুণী নির্বিশেষে কমবয়সী ভারতীয়দের বিরাট অংশ ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছেন একাকীত্বের নিঃসীম অন্ধকারে।
স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে একাকীত্ব। লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজের গবেষকরা জানিয়েছেন, একাকীত্বের সমস্যা একজন মানুষের ১৫ বছর আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। &lsquo;ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স&rsquo; জার্নালে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই একাকীত্বকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও অবকাশ নেই৷ প্রয়োজন মনোবিদের কাছে যাওয়া, উপযুক্ত চিকিৎসা করা৷ নাহলে কিন্তু বিপদ বাড়বে বই কমবে না।

একটা পাথর মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, একলা লাগার ক্ষতয় মলম লাগাচ্ছে। আচ্ছা, পাথরের বদলে রক্ত মাংসের পোষ্যে কি ভাল বিকল্প নয়? আসলে পোষ্যর যত্ন আত্তি বেশি দরকার। পোষ্য ঘরে রাখতে গেলে, খরচও অনেক বেশি। তার চেয়ে পেট স্টোন অনেক ভাল। 

the world is fighting with loneliness in various unique way - Loneliness: একলা জীবনে পোষ্য নয়; সঙ্গী পাথর! চোখ-মুখ এঁকে চলছে বার্তালাপ

Loneliness: একলা জীবনে পোষ্য নয়; সঙ্গী পাথর! চোখ-মুখ এঁকে চলছে বার্তালাপ

একটা পাথর মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, একলা লাগার ক্ষতয় মলম লাগাচ্ছে। আচ্ছা, পাথরের বদলে রক্ত মাংসের পোষ্যে কি ভাল বিকল্প নয়? আসলে পোষ্যর যত্ন আত্তি বেশি দরকার। পোষ্য ঘরে রাখতে গেলে, খরচও অনেক বেশি। তার চেয়ে পেট স্টোন অনেক ভাল।

আবেগহীন বোঝাতে কতবার এই বিশেষণ ব্যবহার করা হয়। পাথর! কেউ শোকে পাথর হন, কারোর মন শক্ত হতে হতেই নাকি পাথর হয়ে যায়। কিন্তু না... পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। পাথর আর আবেগহীনতার প্রতীক থাকছে না। একাকিত্ব ভুলতে কত মানুষ ঘরে পাথর পুষছে, জানেন?&nbsp;
পাথর পোষা? কেন বললাম জানেন, পোষ্য ঘরে থাকলে একলা লাগে না, এ তো খুব চলতি একটি ধারনা। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্প্রতি পাথরকেই পোষ্য ভাবছেন অনেকে। ঘরে পাথর জমাচ্ছেন, তাতে আঁকি বুকি কেটে নাক চোখ মুখ আঁকছেন, পোশাক পরাচ্ছেন। তাদের ডাকনাম দিচ্ছেন। কেন? একাকিত্ব ভুলতে।&nbsp;
একটা পাথর মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, একলা লাগার ক্ষতয় মলম লাগাচ্ছে। আচ্ছা, পাথরের বদলে রক্ত মাংসের পোষ্যে কি ভাল বিকল্প নয়? আসলে পোষ্যর যত্ন আত্তি বেশি দরকার। পোষ্য ঘরে রাখতে গেলে, খরচও অনেক বেশি। তার চেয়ে পেট স্টোন অনেক ভাল। কোভিডকাল থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার দোকানে দোকানে এখন পেট স্টোনের চাহিদা বাড়ছে।&nbsp;
একাকিত্ব গিলছে গোটা দুনিয়াকেই। জাপানে মানুষ হিকিকোমরিতে আক্রান্ত। ছ'মাস বা তারও বেশি সময় ধরে জাপানিরা চলে যাচ্ছেন সামাজিক আইসোলেশনে। কেন? আধুনিক জীবনের স্ট্রেস, উদ্বেগ, মাত্রাতিরিক্ত চাপ, ইঁদুর দৌড় এই সবের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলেই ঘিরছে একাকিত্ব। তখনই সব ছেড়েছুড়ে জাপানিরা চলে যাচ্ছেন সামাজিক জীবন থেকে অনেক দূরে।&nbsp;
অতিমারীর সময়ে থাইল্যান্ডের রেস্তোরাঁয় প্রায়ই দেখা যেত একটা দৃশ্য। টেবিলে খাবার, দুধারের চেয়ারের একটায় কোনও ক্রেতা, অন্যটাই একটা খেলনা পান্ডা। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-এ মানুষের একলা লাগত, কিন্তু সঙ্গী কই? অভাব পূরণ করত ওই সাদা-কালো খেলনা পান্ডা।&nbsp;
&nbsp;Global State of Connections Report বলছে, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বের প্রায় ১২৫ কোটি মানুষ স্বীকার করেছেন তাঁদের একলা লাগে, অনেকেরই একাকিত্বের মাত্রা অনেকটা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলে, পৃথিবীর জনসংখ্যার একটা বড় অংশ একাকিত্বের শিকার। বয়ঃসন্ধিতে প্রায় ১০ %, এবং বয়স্কদের মধ্যে প্রায় ২৫ % ছড়িয়েছে এই সামাজিক সমস্যা।&nbsp;
নিউইয়র্কের কথা বলি? সেখানে তো গত বছর নিয়োগ করা হল একাকিত্বের রাষ্ট্রদূত। পোশাকি নাম লোনলিনেস অ্যাম্বাসাডর। সে দেশেও মহামারির মতো ছড়িয়েছে একাকিত্ব। অতিমারী পরবর্তী সময়ে আরও বাড়ছে সমস্যা।&nbsp;
ছবিটা কমবেশি ভারতেও একই। ফারাক একটাই। একাকিত্ব, অবসাদ নিয়ে কথা বলাটা এ দেশে এখনও ট্যাবু। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখনও হাজারো ফিসফাস। Longitudinal Ageing Study in India বা (LASI)&nbsp; ২০১৭-১৮ সালে ভারতে একটি সমীক্ষা করেছিল। সেই সমীক্ষার হিসেব বলছে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের জনসংখ্যার প্রায় ২০.৫ %-মাঝারি একাকিত্বে ভুগছেন এবং ১৩.৩ %-এর একাকিত্বের মাত্রা মারাত্মক।&nbsp;
এই যে এত প্রযুক্তি এল, জুড়ে থাকার এত মাধ্যম এল, অথচ এখনই মনের অন্ধকারগুলো এত বাড়ছে কেন? মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন,&nbsp; কানেক্টেড থাকতে যত বেশি ডিভাইস নির্ভর হচ্ছে জীবন, ততো বেশি একলা লাগছে, মনে হচ্ছে তলিয়ে যাচ্ছি যেন।&nbsp;

জানেন কি? অফকমের গবেষণা বলছে, মানুষ নয় এখন মানুষের একাকিত্ব কাটাতে সক্ষম ডিজিটাল ডিভাইসই। 

No one to talk to? Friend Siri Alexa to beat loneliness, research says - Siri-Alexa: একা লাগে? কথা বলার কেউ নেই? নিঃসঙ্গতা কাটাতে বন্ধু সিরি অ্যালেক্সা, বলছে গবেষণা

একা লাগে? কথা বলার কেউ নেই? নিঃসঙ্গতা কাটাতে বন্ধু সিরি অ্যালেক্সা, বলছে গবেষণা

জানেন কি? অফকমের গবেষণা বলছে, মানুষ নয় এখন মানুষের একাকিত্ব কাটাতে সক্ষম ডিজিটাল ডিভাইসই।&nbsp;

যতদিন যাচ্ছে, ততই ব্যস্ততা বাড়ছে মানুষের। বাড়ছে একাকিত্ব, নিরাশাও। সব থেকেও যেন কিছুই নেই। কারও সঙ্গে দুদন্ড বসে কথা বলার জো নেই। কিন্তু জানেন কি? অফকমের গবেষণা বলছে, মানুষ নয় এখন মানুষের একাকিত্ব কাটাতে সক্ষম ডিজিটাল ডিভাইসই।&nbsp;
এছাড়াও বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল ডিভাইস (Digital Device) একটা অস্ত্রের মতো। অ্যালেক্সা (Alexa), সিরির (Siri) মতো স্মার্ট স্পিকারের ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন তাঁদের একাকিত্ব কাটাতে সাহায্য করে এই ডিভাইসগুলি।&nbsp;
আরও পড়ুন : <a href="https://www.editorji.com/bengali/lifestyle-news/depression-can-lead-you-to-faster-ageing-says-study-1671094587957">Depression Cause Ageingধূমপান নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাবেই শরীরে দ্রুত বার্ধক্যের ছাপ, জানাচ্ছে গবেষণা</a> &nbsp;
১০০ জন স্মার্ট স্পিকার ব্যবহারকারী, এবং ১৫ জন যারা এমন কিছু ব্যবহার করেন না- তাদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ব্যবহারকারীর নিঃসঙ্গতা দূর করে এই ডিভাইসগুলি। কথা বলার যাদের কেউ নেই, তাদের বন্ধু অ্যালেক্সা, সিরিই। এছাড়াও সংস্থাটি আরও দেখেছে যে মহামারী চলাকালীন, যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলিতে স্মার্ট স্পিকার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২০ সালে ২২% এবং ২০২২ সালে ৩৯% বেড়েছে।

গত বছর, ২০২০ এর এপ্রিল-মে মাসের প্রথম লকডাউন কালে জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, ব্রিটেন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬টি দেশের প্রায় ৫০০০ জনের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।

Music helped people get through the pandemic stress: Study - Music heals stress during lockdown: লকডাউনের নিঃসঙ্গতায় বিশ্বজুড়ে ভরসা সংগীতে

গত বছর, ২০২০ এর এপ্রিল-মে মাসের প্রথম লকডাউন কালে&nbsp;জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, ব্রিটেন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬টি দেশের প্রায় ৫০০০ জনের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।

Music heals stress during lockdown: লকডাউনের নিঃসঙ্গতায় বিশ্বজুড়ে ভরসা সংগীতে

গত বছর, ২০২০ এর এপ্রিল-মে মাসের প্রথম লকডাউন কালে&nbsp;জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, ব্রিটেন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬টি দেশের প্রায় ৫০০০ জনের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।

করোনার প্রকোপে গত দেড় বছরেরো বেশি সময় কার্যত থমকে রয়েছে পৃথিবী। তার মধ্যেই লকডাউনে ঘরবন্ধি হয়ে থাকা মানুষ একাকীত্ব ভুলতে আশ্রয় খুঁজছেন সঙ্গীতের কাছেই। সাইকোলজি অফ মিউজিক জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে করোনা আতঙ্কের আবহে দেশে দেশে মানুষের হাত ধরছে পছন্দের সুর, সঙ্গীত। ভুলিয়ে দিচ্ছে একাকীত্ব আর বন্দীদশার ক্লান্তি, অবসাদ।
গত বছর, ২০২০ এর এপ্রিল-মে মাসের প্রথম লকডাউন কালে&nbsp;জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, ব্রিটেন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬টি দেশের প্রায় ৫০০০ জনের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। অর্ধেকের বেশি মানুষ বলছেন গান শোনা বা করার অভ্যাস তাদের অতিমারীজনিত উদ্বেগ চাপ এসব থেকে বাঁচিয়েছে। অধিকাংশই জানিয়েছেন ঘরবন্দিদশাতে তাঁরা একটু ভালো থাকতে, একটু ভুলে থাকতে আগের চেয়েও বেশি সংগীতের কাছে আশ্রয় খুঁজেছেন।&nbsp;

lonely

ক্যাটাগরি

Trending topics