আরজি করের ঘটনার রেশে চলতি বছরের দুর্গা পুজো নিয়ে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ী গিয়েছে বাংলা। একদল মানুষ বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও উদযাপনে সামিল হবেন না তাঁরা। অন্যদিকে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই 'উৎসবে ফিরতে' বলেছিলেন রাজ্যবাসীকে। কোনও ক্লাব পুজো করছে, কিন্তু ঘটনার প্রতিবাদে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান নেয়নি। দত্তপুকুরের মহিলা পরিচালিত পুজো হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায়।
দত্তপুকুরের কালাচাঁদ পাড়া অধিবাসীবৃন্দের মহিলারা এ বছর প্রথমবার দুর্গা পুজো করছেন, তাও আবার সরকারি প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এক মাসের টাকা পুজোর জন্য খরচ করছেন ৭০ জন সদস্য, সেই দিয়েই পুজো হচ্ছে।
বড় বড় ক্লাবের কাছে ৭০ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক ভাতা নগন্যই, তবু সেই টাকা দিয়েই ছিমছাম ভাবে পুজোর সব আয়োজন করছেন দত্তপুকুরের মহিলা উদ্যোক্তারা। সবাই যে ইতিমধ্যে টাকা দিয়ে দিয়েছেন, এমনও নয়, যাঁদের টাকা দেওয়া বাকি, পরের মাসের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকলে দিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন পুজো কমিটিকে।
পুজোয় আছেন, আবার প্রতিবাদেও আছেন কালাচাঁদ পাড়ার মহিলরা। আরজি করের ঘটনার মাস দুয়েকের মধ্যেই প্রথম পুজোর আয়োজন। পুজোর সম্পাদিকা জানিয়েছেন, ঘটনার প্রতিবাদে সামিল তাঁরাও , প্রতিবাদ, উৎসব দুইয়েই সামিল তাঁরা।