হাওড়া হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। খুনের রাতে স্ত্রী পল্লবী ঘোষকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি সফল হননি। গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশকে এমনটাই জানালেন পল্লবীর স্বামী দেবরাজ ঘোষ। স্ত্রীকে বাধা দেওয়ায় তাঁকে মারধর, হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করেন দেবরাজ। স্ত্রীর মারে বাধ্য হয়ে শেষমেশ বাড়ি ছেড়েছিলেন বলে পুলিশি জেরায় দাবি করলেন ধৃত স্বামী। ঘটনার রাতেই গ্রেফতার হন তাঁর স্ত্রী পল্লবী। তার ন’দিন পর শুক্রবার ভোরে দেবরাজকে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে শুক্রবার হাওড়া আদালত তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, দেবরাজ ও পল্লবী দু’জনে মিলেই পরিবারের চারজনকে খুন করেছেন। কিন্তু হাওড়ার সেই ঘোষ পরিবারের ছোট ছেলে দেবরাজের দাবি, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে থাকলেও চারটি খুন তাঁর স্ত্রীই করেছেন। খুন করার সময় পল্লবী তাঁকেও মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
পল্লবীকে জেরা করে জানা যায়, ঘটনার রাতে বাড়ি থেকে চম্পট দেন দেবরাজ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পল্লবী-সহ পড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও দেবরাজের খোঁজ না মেলায় হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। গোপন সূত্রে খবর মেলে, হাওড়া থেকে পালিয়ে আসার পর থেকে বর্ধমান জেলার বিভিন্ন রেল স্টেশনে রাত কাটাচ্ছিলেন দেবরাজ। সেই মতো নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে কাটোয়া স্টেশনে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১০ অগাস্ট, বুধবার পারিবারিক বিবাদের জেরে শাশুড়ি, ভাসুর, জা ও ভাসুরের কিশোরী মেয়েকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পল্লবী ঘোষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে হাওড়া থানার এমসি ঘোষ লেনে। খুনের অভিযোগে রাতেই গ্রেফতার হন ওই গৃহবধূ।