পঞ্চায়েতে হিংসা রুখতে রাজ্যে বাহিনী আনছে কমিশন। কিন্তু হাতিদের রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ? এই প্রশ্ন ঝাড়গ্রামের। কারণ, ভরা বর্ষায় পঞ্চায়েতে ভোট হবে। আর ওইসময় দলমার দামালদের দাপিয়ে বেড়ানোর সময়। তাই ঝাড়গ্রামের একাধিক গ্রামের প্রশ্ন, কী হবে সেই সময় ? গ্রামবাসীদের দাবি, বৃষ্টিতে ভোট হলে জল-কাদা এমনকী রাজনৈতিক হিংসাও হয়তো তাঁরা সামলে দিতে পারবেন, কিন্তু হাতি হামলা করলে কী করবেন ? বন দফতরের আশ্বাস, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই পঞ্চায়েত ভোটেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সতর্ক করা হবে বিট অফিসারদের।
হাতি বিশেষজ্ঞদের দাবি, জুলাাইয়ের শুরু থেকেই দলমা ছেড়ে সমতলে ঢুকতে শুরু করে হাতি। পশ্চিমবঙ্গে এসে তারা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটি দল চলে যায় জয়পুরের জঙ্গল হয়ে বর্ধমানের দিকে। অন্য একটি দল দাপিয়ে বেড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের একাধিক জায়গায়। মূলত খাবারের সন্ধানে এই সময় পাহাড় থেকে সমতলে নেমে আসে হাতির দল।
আর এখানেই প্রশ্ন জেলার সাধারণ মানুষের। গ্রামে বুথে হাতি ঢুকে পড়লে, কে তাদের সামলাবে। কারণ, গত কয়েকমাসে জেলায় হাতির হানায় কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাই জীবনের ঝুঁকি এখন আর কেউ নিতে চাইছেন না।