জেলায় গিয়ে এ ভাবেই জেলা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ দিনের ব্যবধানে জেলায় পর পর দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার খুন। এর মধ্যে বছরের শুরুতেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন, ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকার।
এদিন মালদহে গিয়ে নিহত দুলাল সরকারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গেও। গত দোসরা জানুয়ারি দুলাল সরকার খুনের পর নিজের ক্ষোভ প্রকাশ্যেই দেখিয়েছিলেন মমতা। ঘটনার পরেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল জেলার পুলিশ সুপারকে। এদিন দুলাল সরকারের বাড়ির চত্বরে দাড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, এই ঘটনায় যত বড় কেউ জড়িত থাকুন না কেন, কাউকে ছাড়া হবে না।
দুলাল সরকার ছিলেন তাঁর দীর্ঘ সময়ের সঙ্গী। মুখমন্ত্রী জানান, বাবলার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এই জেলায় যে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে, তা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানে তাঁর প্রশ্ন এই জেলায় নিশ্চই কোনও রহস্য রয়েছে ? আর সেই রহস্য এবার ভেদ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই দুলাল সরকারের বাকি কাজ শেষ করবে তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার।
গত দোসরা জানুয়ারি ইংরেজবাজারের মহানন্দাপল্লীতে খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বর্তমান কাউন্সিলর দুলাল সরকার। এই ঘটনায় বিহারের এক দুষ্কৃতী-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালদহের প্রাক্তন জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। যদিও নরেন্দ্রনাথের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।